দিনাজপুরে বিশ্ব ইসলামিক কনফারেন্স ইসলামে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের জায়গা নেই
দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥
দিনাজপুরে বিশ্ব ইসলামিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনাজপুরের ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে বুধবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত স্থানীয় গোর-এ শহীদ বড়ময়দানে বিশ্ব ইসলামিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ এরশাদ আহমেদ আল বুখারীর সভাপতিত্বে কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এবং কোরআন সুন্নাহ ও মুসলিম মিল্লাতের উপর গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন লেবাননের ওয়ার্ল্ড সুফী এসোসিয়েশন ও জামিয়াতুল আশরাফ আল হাসমিয়াহের প্রেসিডেন্ট আওলাদে রাসুল শাইখ ড. জামিল হালিম, ভারতের উত্তরপ্রদেশের আরবী ইসলামিক ইউনির্ভাসিটির ভিসি শাইখ হাদিস আল্লামা আফাক্ব আহমেদ আল মুজাদ্দেদি ও প্রফেসর আল্লামা শাইখ আসিফ আল মুজাদ্দেদি, লেবাননের শাইখ উমর আল ফাকেহানি, নেপালের দারুল উলুম আরাবিয়া আহলে সুন্নাতের প্রিন্সিপাল মাজহার আলী নিজামী আলিমী, কানাডার প্রফেসর শাইখ আহমেদ জীল এবং নর্থ আমেরিকার আল বখতিয়ার সুন্নী সোসাইটির সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলী আকবার। বক্তারা বলেন, পবিত্র কোরআন ও ইসলামের জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার কোন জায়গা নেই। ইসলাম শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও ত্যাগের মহিমায় সমুজ্বল। আমাদের প্রিয় নবী সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহাম্মদ (সা.) অন্যায়, অত্যাচার এবং অন্যের হক আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। হেদায়েতের বাণী নিয়ে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলামকে সারা পৃথিবীতে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। যারা ইসলামের নামে মানুষ হত্যা করে, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তারা কখনই ইসলামের লোক নয়। তারা হচ্ছে ইসলামের শত্রু। বক্তারা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কোরআন ও সুন্নাহর আদর্শ নিজেদের জীবনে ধারণ করে ইসলামের মর্যাদা, মর্মবাণী ও ঐতিহ্যকে অক্ষুন্ন রাখার আহ্বান জানান।
ব্লাস্টের সালিশে দিনাজপুরে সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা পেল কুনোবালা
দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥ ব্লাস্টের সালিশ বিচারে স্বামী ও পুত্রের অত্যাচারের শিকার কুনোবালা পেল তার সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা।
বৃহস্পতিবার ব্লাস্টের দিনাজপুর ইউনিট অফিসে এক সালিশ বিচারের মাধ্যমে সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবপুর গ্রামের কুনোবালা তাঁর স্বামী ভ্যান চালক সুধাংশু রায়ের কাছ থেকে পেল তার সম্পত্তির হিস্যা আড়াই শতক জমি। কুনোবালা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী সুধাংশু রায় ও একমাত্র পুত্র নারায়ণ চন্দ্র রায়সহ পুত্রবধু তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। তার ভরণ-পোষণ বন্ধ করে দেয়। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কুনোবালা ব্লাস্টের কাছে বিচার চেয়ে দরখাস্ত করলে বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সালিশের মাধ্যমে আগামী ৩ মাসের মধ্যে কুনোবালাকে আড়াই শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার ব্যাপারে স্বামী সুধাংশু সম্মতি দেন। এ সময় ব্লাস্টের সালিশ কর্মকর্তা গাওসুল আযম ফিরোজ, সিডিসি’র নির্বাহী পরিচালক যাদব চন্দ্র রায়, এলাকাবাসী আব্দুল কুদ্দুস, ভৈরব রায়, আব্দুস সাত্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।