লাইফস্টাইল ডেস্কঃ-
এমনভাবেও ধোঁকা দেওয়া যায়! না হলে শরীর অনাবৃত করে লন্ডনের রাস্তায় ঘুরে বেড়ালেন আর অধিকাংশ মানুষই ধরতে পারলেন না। শুনতে আশ্চর্যজনক লাগলেও এটাই সত্যি। এক তরুণী শরীরের ঊর্ধ্বাংশ উন্মুক্ত করে লন্ডনের কিংস্টনের রাস্তায় ১০ মিনিট হেঁটে বেড়ালেন। অথচ, অধিকাংশ মানুষই বুঝতে পারলেন না যে কিলি ক্লেইন নামে ওই তরুণী নগ্ন।
কীভাবে লন্ডনের রাজপথের মানুষদের ধোঁকা দিলেন কিলি? এই খেলার পিছনের আসল মাথাটা হলেন সারা অ্যাশলি। এঁর পেশা এবং নেশা বডি পেইন্টিং। সারা-ই কিলি ক্লেইনের জামাকাপড়হীন ঊর্ধ্বাংশে রঙের প্রলেপ পরান। এর জন্য ২ ঘণ্টা ধরে কিলির কাঁধ থেকে বুক এবং কোমর পর্যন্ত রঙের ব্রাশ বোলাতে হয়েছে সারাকে।কিলির শরীরের ঊর্ধ্বাংশে যে কোনও কাপড় নেই, তা সাধারণ চোখে বোঝার উপায় ছিল। কারণ, সারা এমনভাবে কিলির শরীরের অনাবৃত ঊর্ধ্বাংশে রঙের প্রলেপ দিয়েছিলেন যে মনে হচ্ছিল তিনি একটি সবুজ টি-শার্ট পরে আছেন।সবমিলিয়ে এইভাবে ১০ মিনিট লন্ডনের রাস্তায় হেঁটে বেরিয়েছিলেন। কিলির এই গোটা সময়ের ভিডিও শ্যুট করানো হয়েছিল। ভিডিও-তে পরে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষই কিলির অর্ধনগ্ন শরীরের এই রহস্যকে ধরতে পারেননি। অনেক কিলির শরীরের ঊর্ধ্বাংশের কিছু অস্বাভাবিকতা দেখে বোঝার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু, লাভ হয়নি। যা দেখছেন সেটা কোনও ‘অপটিক্যাল ইলিউশান’ না সত্যি— এই ধাঁধা থেকে বের হতে পারেননি। তবে, কিলিকে এমনভাবে দেখে যে তাঁদের ‘দিমাগ কা বাত্তি’ জ্বলে উঠেছিল তাতে সন্দেহ নেই। কারণ, ১৯ জন পথ চলতি মানুষের চক্ষু ছানাবড়ার ছবিও ক্যামেরাবন্দি হয়।এই ঘটনার মাসখানেক আগেও কিলি এবং সারা একই কাজ করেছিলেন। তবে, সেবার কিলি কোমরের পর থেকে পোশাক খুলে ফেলেছিলেন। শুধুমাত্র একটি কটিবন্ধ পরা কিলির শরীরে রঙের প্রলেপ দিয়েছিলেন সারা। নীল রঙকে এমনভাবে ব্রাশ দিয়ে কোমরের পর থেকে বুলিয়েছিলেন যে মনে হচ্ছিল কিলি জিন্স পরে হাঁটছেন। সেযাত্রাতেও কিলির এই পোশাক দেখে অধিকাংশ পথচলতি মানুষই কিছু বুঝতে পারেননি। যাঁরা পেরেছিলেন তাঁরা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।