ইন্টারনেটের দাম পুনঃনির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক:
-সাধারণ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য করে তুলতে ইন্টারনেটের দাম পুনঃনির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ইন্টারনেটের দাম রাখতে কাজ শুরু করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ইন্টারনেটের দাম ঠিক করা হবে। দেশের সব প্রান্তে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ চলছে। ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর জন্যও কাজ করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর তরুণ প্রজন্ম যাতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পায় সেটা নিশ্চিত করা হবে। তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তিবিদ হিসেবে গড়ে উঠবে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) জানিয়েছে, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশন। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সংযুক্ত হওয়ায় দেশে অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতে আরও ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এই ৪০০ জিবিপিএসের মধ্যে ১২০ জিবিপিএস বিএসসিসিএলের প্রথম সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে আসছে। বাকি ২৮০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আইটিসির মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। বর্তমানে কুয়াকাটা-ঢাকা ব্যাকহোল লিংক বা কেবল স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। বিটিসিএল কর্তৃক এই ব্যাকহোল লিংক স্থাপনের কাজ সম্পন্ন ও টেস্টিং সম্পন্ন হওয়ার পরে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হবে। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনের ট্রান্সমিশন লিংক স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে। মার্চ থেকেই বাড়তি ইন্টারনেট সুবিধা সাধারণ মানুষ পেতে শুরু করবে।এদিকে, উপজেলা পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যন্ত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কও বিস্তার করার কাজ চলছে। নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন ও ইন্টারনেট সুবিধা বাড়ানোর জন্য অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপনের কাজ হয়েছে গত জুনে। গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে ইন্টারনেট সুবিধা পেলে শহর ও গ্রামের বৈষম্য অনেকাংশে দূর হবে।