পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির গল্প সাজানোর নেপথ্য ব্যক্তিদের খুঁজতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিনিধি:-পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির গল্প সাজানোর নেপথ্য ব্যক্তিদের খুঁজতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার সকালে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন।
রুলে পদ্মা সেতু নির্মাণচুক্তি ও দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন অথবা কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। রুলে স্বরাষ্ট্র, আইন, মন্ত্রিপরিষদ ও যোগাযোগ সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এই কমিটি গঠনের বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, ‘ইউনূসের ( শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস) বিচার দাবি ও ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান’ শিরোনামে গতকাল দৈনিক ইনকিলাবে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া আরো কয়েকটি সংবাদপত্রের প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে আদালত স্বপ্রোণাদিত হয়ে এই আদেশ দেন। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ২০১০ সালে তদন্ত শুরু করে। অভিযোগ সম্পর্কে নিজেদের তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশকে (আরসিএমপি) অনুরোধ জানায়।এরই ভিত্তিতে আরসিএমপি কানাডার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের কিছু কর্মকর্তার টেলিফোন সংলাপ রেকর্ড করার অনুমতি নেয়। পরে তারা এসএনসি-লাভালিনের কার্যালয়ে তল্লাশি চালায়। ২০১২ সালে মোহাম্মদ ইসমাইল ও রমেশ শাহকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে কেভিন ওয়ালেস ও বাংলাদেশি কানাডিয়ান ব্যবসায়ী জুলফিকার ভূঁইয়াকে এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। তবে সম্প্রতি আদালতের এক রায়ে তিনজন এই অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পান।সম্ভাব্য দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১১ সালে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে যায় বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ সরকারও বিশ্বব্যাংককে না বলে দেয়। পরে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেয় সরকার।২০১৪ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই করে সরকার। গত মার্চে নির্মাণকাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। পদ্মা সেতুর নদীর শাসনের কাজ করছে সিনো হাইড্রো করপোরেশন। চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি মূল সেতুর নির্মাণকাজ