বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, শ্রম আইনের সংশোধন ও বেজা আইনের মাধ্যমে শ্রম অধিকারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে, শিগগির যুক্তরাষ্ট্রকে এ অগ্রগতির চিত্র জানানো হবে।
আজ সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে শ্রম সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত বিশেষ আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা শেষে তপন কান্তি ঘোষ এ কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, শ্রম অধিকারের ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘোষিত শ্রমনীতিতে তারা চায়-বিশ্বব্যাপী সকল দেশের শ্রম পরিবেশের আরও উন্নতি হোক। বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে সেটা করা হয়েছে এমন নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শ্রমমানের উন্নতির যে তাগিদ সেটা নতুন নয় উল্লেখ করে সরকারের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এটি চলমান প্রক্রিয়া, মেমোরেন্ডাম দেওয়া হয়েছে বলে এটা নতুন তেমন কিছু না। তবে আমরা সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে সবসময় আছি এবং তাদের শর্ত মেনে লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সব পর্যায়ের স্টেকহোল্ডার নিয়ে যা যা করণীয় তা করা হবে বলে তিনি জানান।
সভায় শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, বিজিএমইএ সভাপতি মো. ফারুক হাসান,বিকেএমইএ নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘কারও দয়ায় নয়, পণ্যের গুণগত মান, আন্তর্জাতিক চাহিদা ও শ্রমিক অধিকার রক্ষা করেই তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দ্বিবার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের শ্রম আইনে শ্রম অধিকারের যেসব বিষয় আছে, তার মধ্যে বেশ কিছু পরিপালন করা হয়েছে। তবে তারা চায় আরও অগ্রগতি হোক। এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, তৈরি পোশাক খাতে নতুন ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হবে। এ ছাড়া শ্রমিক কল্যাণে আরও কী করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশের কিছু শর্ত ছিল। শ্রম আইন ও বেজা আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে চাওয়া ছিল, তা অনেকটাই পূরণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে তিনবার শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে।
সভায় কর্মক্ষেত্রে শ্রমমান, শ্রম আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি, শ্রম অধিকার ও ন্যায্য মজুরি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।