চট্টগ্রামে ভারতীয় নাগরিক জিবরান তায়েবী হত্যা মামলার আসামি ইয়াছিন রহমান টিটুর যাবজ্জীবন দন্ডের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আনা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ শুনানি শেষে আজ এ রায় দেন। টিটু কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমানের ছেলে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী ও মো. সারওয়ার হোসেন। রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী।
ভারতীয় নাগরিক ও চট্রগ্রামের একটি বেসরকারি শিপিং কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জিবরান তায়েবী ১৯৯৯ সালের ৯ জুন নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে খুন হন।
পরদিন জিবরানের সহকর্মী জেমস রায় ডাবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১৯৯৯ সালের ২২ নভেম্বর আদালতে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অভিযোগপত্রের আট আসামি ছিলেন, ইয়াছিন রহমান টিটু, মো. ওসমান আলী, আলী আকবর ওরফে দিদারুল আলম, জিল্লুর রহমান, জাহিদ হোসেন ওরফে কিরন, মো. সিদ্দিক, ওমর আলী ওরফে জাহাঙ্গীর কসাই এবং আলমগীর।
পরে ২০০২ সালের ১২ এপ্রিল চট্রগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এই মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। এছাড়া ইয়াছিন রহমান টিটু, ওমর আলী ও আলমগীরকে খালাস দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করলে ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ আদালত টিটু, ওমর আলী ওরফে জাহাঙ্গীর কসাই ও আলমগীরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। এছাড়া নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া মো. সিদ্দিককে খালাস দেন হাইকোর্ট।
এ রায়ের পরে ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর চট্রগ্রামের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টিটু। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়। ১৭ অক্টোবর কারাগারে থেকেই তিনি আপিলের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১ আগস্ট আসামি ইয়াছিন রহমান টিটুর যাবজ্জীবন কারাদন্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে টিটু রিভিউ আবেদনটি করেন।