ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থেকে পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার ওপর নজর দিতে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে সংস্থাটি আহ্বান জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গুর লক্ষণ সম্পর্কে আজ এক তথ্যবিবরণীতে বলেছে, শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি হওয়ার পাশাপাশি ২টি লক্ষণ দেখা দিলে ডেঙ্গু সন্দেহে নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। লক্ষণ দুটি হলো- তীব্র মাথা ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরের পেশি ও জয়েন্টসমূহে ব্যথা এবং বার বার বমি করার প্রবণতা।
তীব্র ডেঙ্গুর লক্ষণ সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ডেঙ্গু হওয়ার ৩ থেকে ৭ দিন পর হতে পারে; শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক কমে যাওয়া, তীব্র পেট ব্যথা; ক্রমাগত বমি করা, বমির সাথে রক্ত যাওয়া, ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া এবং শরীরে অবসাদ বোধ করা, অস্থিরতা বোধ করা।
ব্যক্তিগত সতর্কতা সম্পর্কে তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, ঘরের বা অফিসের বা কর্মস্থলের জানালা সবসময় বন্ধ রাখতে হবে এবং মশার কামড় থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখতে পারে এমন পোশাক পরিধান করতে হবে।
কমিউনিটির সচেতনতা বৃদ্ধি সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরামর্শে বলেছে, পরিবার, প্রতিবেশী ও কমিউনিটির মধ্যে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সকলকে সরাসরি যুক্ত হওয়ার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।
মশার প্রজনন রোধে যেসব কাজগুলো করতে হবে- ঘরে ও আশেপাশে যে কোন পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি তিনদিন পরপর ফেলে দিলে এডিস মশার লার্ভা মরে যাবে; ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে এবং ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা বা নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে বিধায় এগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়া পানি যাতে না জমে সেজন্য অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস করতে হবে অথবা উল্টে রাখতে হবে। দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে এবং ডেঙ্গু হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দ্রুত যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে অধিদপ্তর।