তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তো রাষ্ট্র নিয়েই হতাশ। ফলে তারা রাষ্ট্রপতি নিয়ে যে হতাশা ব্যক্ত করেছে সেটিও অস্বাভাবিক নয়।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের ‘নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো প্রত্যাশা নেই’ বক্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব তো রাষ্ট্র নিয়েই হতাশ। না হয় উনি কি বলতে পারেন যে, ‘পাকিস্তানই ভালো ছিলো’। এ কথা বলার মধ্য দিয়ে এটিই তো প্রকাশ পায় যে, তিনি রাষ্ট্র নিয়েই হতাশ। যারা রাষ্ট্র নিয়ে হতাশ তারা রাষ্ট্রপতি নিয়েও হতাশা ব্যক্ত করবে এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু বিদায়ী রাষ্ট্রপতি যেমন ভালো মানুষ ছিলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতিও একজন ভালো মানুষ এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি একজন বিচক্ষণ, প্রাজ্ঞ, বুদ্ধিমান মানুষ, সংকটে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে, অভিভাবক হিসেবে তিনি অতীতের মতোই অত্যন্ত সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।’
একই সাথে তিনি বলেন, সোমবার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চার ইতিহাসে একটি নতুন পালক যুক্ত হয়েছে। একজন রাষ্ট্রপতি পরপর দু’বার দায়িত্ব পালন করে সসম্মানে বর্ণাঢ্যভাবে বিদায় নিয়েছেন এবং আরেকজন রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণ করেছেন। মর্যাদার সাথে শান্তিপূর্ণ ও বর্ণাঢ্যভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব হস্তান্তর গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চার ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক যুক্ত করেছে।
এ সময় সাংবাদিকরা সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলারস (আইএজিএস) যে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী পরিচালিত গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে গণহত্যা হয়েছে সেটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমাদের দেশে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে। রুয়ান্ডাসহ অন্যান্য যেসব গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, সে সব জায়গায় এতো মানুষ মারা যায়নি। আমাদের সরকার এ নিয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এই ঘোষণাটা অত্যন্ত সহায়ক হবে।