ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রকে পেটানোর ঘটনায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত দুই গ্যাং সদস্যকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে তাদের শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়েছে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে দেওয়া হয়েছে। তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তবে অনুসন্ধানের স্বার্থে কারো নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। অভিযুক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে গতকাল এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রের মা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ ছাত্রের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনের মা সাদিয়া আফরোজ খান।
লিখিত অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ছাত্র তবারক মিয়াকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। নাম উল্লেখ করে আরও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তারা হলেন একই হলের ছাত্র সিফাত সাহিল, ফয়সাল আহম্মেদ ওরফে সাকিব, মো. সোভন ও সৈয়দ নাসিফ ইমতিয়াজ ওরফে সাইদ, সূর্য সেন হলের ফারহান লাবিব, মুহসীন হলের অর্ণব খান ও আবু রায়হান, কবি জসীমউদ্দীন হলের নাঈমুর রহমান ওরফে দুর্জয়, সাদ, রহমান জিয়া, মোশারফ হোসেন, জহুরুল হক হলের হেদায়েত নূর, মাহিন মনোয়ার, সাদমান তাওহিদ ওরফে বর্ষণ ও আবদুল্লাহ আল আরিফ, জগন্নাথ হলের প্রত্যয় সাহা ও জয় বিশ্বাস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ফেরদৌস আলম ওরফে ইমন।
অভিযোগ পত্রে তিনি বলেছেন, তার ছেলে জোবায়েরকে হত্যার উদ্দেশ্যে স্টাম্প, রড, বেল্ট ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে অভিযুক্তরা। এতে মাথা ও চোখে গুরুতর জখম হয় সে। ছিঁড়ে যায় ডান পায়ের লিগামেন্ট। মারধরের সময় জোবায়েরের বন্ধুরা তাকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরও এলোপাতাড়ি পেটান অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। প্রাণনাশের হুমকিসহ দেখানো হয় ভয়ভীতি। মারধরে জোবায়ের চেতনা হারিয়ে হফেললে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে জোবায়েরকে তার বন্ধুরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলের সামনে ওই ছাত্রকে পেটান অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী জোবায়ের স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্র ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। অভিযুক্ত ছাত্ররাও একই বর্ষের। তারা ‘প্রলয়’ নামে ক্যাম্পাসভিত্তিক একটি গ্যাংয়ের সদস্য বলে জানা গেছে। নিয়মিত মাদক সেবন, ছিনতাই-চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িত এ গ্যাংয়ের সদস্যরা।