×
ব্রেকিং নিউজ :
সাফ শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে ‘জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটি ও গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় ছাত্রদল ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী : নাসির উদ্দিন নাসির রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ শহিদ সাংবাদিকদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট : নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংস্কার হতে হবে টেকসই, যেন আপত্তিকর চর্চার পুনরাবৃত্তি না হয় : ফলকার
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০২-১৯
  • ২৮৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের পাঁচ জনের বিষয়ে কাল সোমবার রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করবে।
এ মামলায় অন্যতম আসামি ছিলেন  ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য এম এ হান্নান। কারাবন্দী অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ট্রাইব্যুনালে শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন, রেজিয়া সুলতানা চমন ও তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম।
২০১৫ সালের ১৯ মে এমপি হান্নানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন। মামলায় জাতীয় পার্টির তৎকালীন সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলার আসামি করা হয় মোট আট জনকে।
এ মামলায় ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর এমপি হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন  ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালের ২৭ মে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার শেষে ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। আট আসামি হলেন- এম এ হান্নান, এম এ হান্নানের ছেলে রফিক সাজ্জাদ, ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, মিজানুর রহমান মিন্টু, মো. হরমুজ আলী, ফখরুজ্জামান, আব্দুস সাত্তার ও খন্দকার গোলাম রব্বানী।
এর মধ্যে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ এবং অপর এক আসামি মিজানুর রহমান মন্টু মারা গেছেন।  
বাকী পাঁচ আসামির মধ্যে বর্তমানে কারাগারে আছেন ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, হরমুজ আলী ও আব্দুস সাত্তার। পলাতক আছেন ফখরুজ্জামান ও খন্দকার গোলাম রব্বানী।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ২১ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলায় তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
২০১৬ সালের ১১ জুলাই হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্দে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন।
একই বছরের ১ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনক্রমে এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ওই দিনই ঢাকায় গ্রেফতার হন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat