জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আগামীকাল ঢাকা ডমিনেটর্সের মুখোমুখি হচ্ছে মাশরাফি-মুশফিকের সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথম চার ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে সিলেট। অন্য দিকে ৩ ম্যাচে মাত্র ১ জয় আছে ঢাকার। দ্বিতীয় জয়ের লক্ষ্য নিয়ে সিলেটের বিপক্ষে মাঠে নামবে ঢাকা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে সিলেট-ঢাকার লড়াই।
বিপিএলের শুরুতে ঢাকা প্রথম পর্বেই চার ম্যাচ খেলেছে সিলেট। সবগুলোতেই দাপট দেখিয়েছে জয় তুলে নেয় তারা। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৮ উইকেটে, সাকিবের ফরচুন বরিশালকে ৬ উইকেটে, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৫ উইকেটে এবং ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৬২ রানে হারায় সিলেট।
এরমধ্যে বরিশালের বিপক্ষে ১৯৫ রানের টার্গেট স্পর্শ করে সিলেট। ঢাকার বিপক্ষে এবারের আসরে প্রথম দল হিসেবে ২শ রান তুলে তারা।
চার ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছে সিলেটের ক্রিকেটাররা। ব্যাটারদের তালিকায় সর্বোচ্চ রানের শীর্ষ দু’টি স্থানে সিলেটের তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্তর। ৩ ইনিংস ব্যাট করে ৩টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৬৫ গড় ও ১৬৭ স্ট্রাইক রেটে ১৯৫ রান করেছেন হৃদয়। হাফ-সেঞ্চুরি পাওয়া তিন ইনিংসেই ম্যাচ সেরা হন হৃদয়।
৪ ইনিংস ব্যাট করে ৫৬ গড় ও ১১৮ স্ট্রাইক রেটে ১৬৭ রান করেছেন শান্ত। ১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।
শুধুমাত্র অধিনায়ক হিসেবেই নয়, বোলিং বিভাগেও সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিলেটের দলনেতা মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৪ ইনিংসে ১৫ ওভার বল করে ১১২ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সর্বোচ্চ ৭ উইকেট শিকারে রংপুর রাইডার্সের পেসার রবিউল হক ও ঢাকার আল-আমিন হোসেনের সাথে আছেন ম্যাশ। তার সাথে সিলেটের পক্ষে পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির ও দলের আরেক পেসার রেজাউর রহমান রাজা ৬টি করে উইকেট নেন।
তবে বড়সড় ধাক্কা নিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করতে হবে সিলেটকে। ঢাকা পর্বের শেষ ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় আঙুলের ইনজুরিতে পড়েন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা হৃদয়। আঙুলে আটটি সেলাই পরায় দু’সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন তিনি। চট্টগ্রাম পর্বে মাঠেই নামতে পারবেন না সিলেটের হৃদয়।
চট্টগ্রাম পর্বে দু’টি ম্যাচ খেলবে সিলেট। দু’টি ম্যাচেই জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না উল্লেখ করে আকবর আলি, ‘ঢাকা পর্বের চারটি ম্যাচই জিতেছি আমরা। মোমেন্টামটা আমাদের দিকে আছে। আমরা চেষ্টা করব চট্টগ্রাম পর্বে দু’টো ম্যাচ জিতে মোমেন্টাম ধরে রাখতে।’
অন্য দিকে এখন পর্যন্ত বিপিএলে তিন ম্যাচ খেলেছে ঢাকা। এরমধ্যে দু’টি ঢাকায় নিজ ডেরায়। অন্যটি চট্টগ্রাম পর্বে। জয় নিয়ে আসর শুরু করলেও, পরের দুই ম্যাচে হার বরণ করে ঢাকা।
অধিনায়ক নাসির হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুন্যে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় দিয়ে আসর শুরু করে ঢাকা। এরপর সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে ৬২ ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৮ উইকেটে হারে ঢাকা।
ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ রান নাসিরের। ৩ ইনিংসে ৫৫ গড় ও ১১৮ স্ট্রাইক রেটে ১১০ রান করেছেন তিনি। ১শ রান করা ঢাকার একমাত্র ব্যাটার নাসির । বল হাতে ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৭ উইকেট নিয়েছেন আল-আমিন।