ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ২ জন আসামি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
গত ২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ২ আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আরও ২ আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গনে দু’টি মোটরসাইকেলযোগে আনসার আল ইসলামের ৫ থেকে ৬ জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়াও আরও ১০ থেকে ১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করে। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে ২ আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।