×
ব্রেকিং নিউজ :
চট্টগ্রামে বহুল কাঙ্খিত স্বস্তির বৃষ্টি বরগুনায় স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন পিরোজপুরে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিক উদযাপনে প্রস্তুতি সভা রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে দুইজন নিহত নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার
  • প্রকাশিত : ২০২২-১১-২৩
  • ২০৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালি কলসি বাজে বেশি’র মতই বিএনপি নেতারা ঢাকায় তাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে বাগাড়ম্বর করছেন। 
তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। 
ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবসহ বিএনপি নেতারা তো সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন ১২-১৩ বছর ধরে। উনারা এক দফা আন্দোলনেই তো আছেন। আর ১০ ডিসেম্বর কতটুকু কি হবে সেটা আমরা জানি এবং বুঝি। কারণ সারাদেশে তো উনারা সমাবেশ করেছেন। সমাবেশের নামে কোনো কোনো জায়গায় পিকনিক করেছেন, বিশৃঙ্খলাও সৃষ্টি করেছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশের যে হাঁকডাক তারা দিয়েছিলেন তার কোনো প্রতিফলন সমাবেশগুলোতে ছিলো না। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের কোনো সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে যতো মানুষ হয়েছে, তাদের মহাসমাবেশগুলোতে সে রকম হয়নি।’ 
কুমিরের একই ছানা বারবার দেখানোর মতো, বিএনপির সমাবেশগুলোতে একই লোক সারা বাংলাদেশে ঘুরছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে লঞ্চে করে বরিশালে মানুষ গেছে সমাবেশ করার জন্য। সিলেটের সমাবেশে কুমিল্লা থেকে গেছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ থেকেও গেছে। ঢাকাতেও কি হবে আমরা জানি এবং বুঝি। তবে তারা যেন সমাবেশ করতে পারে সে জন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে তাদেরকে সহয়তা করে এসেছে। সে জন্যই তারা নির্বিঘেœ সমাবেশগুলো করতে পেরেছে।’ 
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘আর আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন তারা আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, বোমা হামলা চালিয়েছে, বহু মানুষকে হতাহত করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আমি নিজেও আহত হয়েছি’। 
তিনি বলেন, তাদের সমাবেশে কিন্তু একটি পটকাও ফোটে নাই আজ পর্যন্ত। সরকার নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে বিধায় তাদের এভাবে নির্বিঘেœ সমাবেশ করা সম্ভবপর হয়েছে। 
‘বিএনপি কেন নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়’ প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, ‘উনারা না কি বিশাল সমাবেশ করবেন- কেউ বলছে ১০ লাখ, আবার কালকে টেলিভিশনে দেখলাম ২৫ লাখ, কিন্তু নয়াপল্টনের সামনে ১ কিলোমিটার রাস্তা যদি বন্ধ করা যায় তাহলে ৫০ হাজার মানুষ ধরে। নয়াপল্টনে সমাবেশ করার উদ্দেশ্যের মধ্যে বোঝা যায় যে সমাবেশ আগে থেকেই ফ্লপ।’
কেন একটি প্রধান রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে হবে- প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কি কোনো প্রধান রাস্তা বন্ধ করে কোনো সমাবেশ করি! তারা অন্যান্য জায়গায় যে সমাবেশগুলো করেছে সেগুলো তো মাঠেই হয়েছে। তারা যেভাবে সমাবেশ করবে বলছে সে রকম মাঠ তো ঢাকা শহরে নেই, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও তা নয়। আসলেই পূর্বাচল ছাড়া আমি কোনো জায়গা দেখি না, কারণ ১০-২০ লাখ লোকের জন্য পূর্বাচল ছাড়া আর কোনো জায়গা নেই। 
তিনি বলেন, ‘তারা কেন নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ করতে চায়, সেটি সহজেই অনুমেয়। হেফাজতে ইসলাম যে ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল, তারা সে ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির জন্য গাড়িঘোড়া ভাংচুর, অগ্নিসন্ত্রাস এবং মানুষের সম্পত্তির ওপর হামলা পরিচালনা করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ সেটি হতে দেবে না।’  
‘১০ ডিসেম্বর আমাদের নেতা-কর্মীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে’ জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভিত জনগণের অনেক গভীরে প্রোথিত, আমরা জনগণের সাথে আছি। সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার জন্য সবসময় সতর্ক আছি। বিএনপি সারাদেশে সমাবেশের নামে যে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে তার সাথে জঙ্গিগোষ্ঠীর সাম্প্রতিক অপতৎপরতা একসূত্রে গাঁথা। টার্গেটেড কিলিং-সন্ত্রাসসহ তাদের নানা পরিকল্পনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০১৩-১৪-১৫ সালে যখন তারা শুধু মানুষ নয়, পশুপাখি-গরু-মুরগির ওপরও হামলা পরিচালনা করেছিল, রাস্তার গাছপালা উপড়ে ফেলেছিল, তখন তাদের মোকাবিলা করেছি। সুতরাং তাদেরকে কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় আমরা জানি। তবে দেশের মানুষ সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেবে না, আমরা করতে দিতে পারি না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যা কিছু করবে সেটি দেশে শান্তি, স্থিতি, শৃঙ্খলা রাখার স্বার্থে করবে।’ 
১০ ডিসেম্বর পরিবহন ধর্মঘট থাকবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেখুন বাস-ট্রাক মালিক সমিতি এগুলো বেসরকারি সংগঠন, এখানে সব দলের নেতারা আছেন। সব দল মিলেই বাস-ট্রাক মালিক সমিতি এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোতেও সব দল আছে। এটি তাদের ব্যাপার, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো জানাশোনা নেই, আমাদের কোনো হাতও নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat