×
ব্রেকিং নিউজ :
চট্টগ্রামে বহুল কাঙ্খিত স্বস্তির বৃষ্টি বরগুনায় স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন পিরোজপুরে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিক উদযাপনে প্রস্তুতি সভা রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে দুইজন নিহত নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার
  • প্রকাশিত : ২০২২-১০-২৬
  • ২০০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,  নিজস্ব গবেষণা ব্যতীত দীর্ঘস্থায়ী ও যুগোপযোগী চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠা করা দুরূহ ব্যাপার।
তিনি আগামীকাল ‘বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সরকার ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে, যার মূল লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গবেষণার বুনিয়াদ সৃষ্টি করা। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ করে এর গবেষণা ও শিক্ষা কর্মকান্ডকে প্রাধিকারমূলক কর্মসূচির আওতায় রেখেছি এবং সে অনুসারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কেননা নিজস্ব গবেষণা ব্যতীত দীর্ঘস্থায়ী ও যুগোপযোগী চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠা করা দুরূহ ব্যাপার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থবারের মত ‘বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস’ উদযাপন করতে যাচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এই উপলক্ষ্যে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশি¬ষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে তিনি চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্ল¬বিক পরিবর্তন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে এ নীতির বাস্তবায়ন করছি। যুগোপযোগী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ফলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরে উলে¬খযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সারাদেশের হাসপাতালগুলোর শয্যা বৃদ্ধি, চিকিৎসক, নার্স, সাপোর্টিং স্টাফের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মেডিক্যাল শিক্ষার প্রসারে নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। গ্রাম পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফ্রি স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টিসেবা প্রদান করা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প¬্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে।’  
বাংলাদেশের মানুষের জন্য চিকিৎসাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিএসএমএমইউ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘ আমি আশা করি, চিকিৎসা গবেষণাতেও বিশ্ববিদ্যালয়টি নেতৃত্ব দেবে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণাকে বেগবান করার জন্য ইমেরিটাস অধ্যাপক নিয়োগ দিয়েছে, যা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। এ বছর গবেষণা খাতে বরাদ্দ ৪ কোটি থেকে ২২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় উন্নীত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রেসিডেন্ট চিকিৎসকদেরকে গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে ‘উপাচার্য গবেষণা পুরস্কার’ সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন করেছে। সম্প্রতি অধিকতর জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একসঙ্গে ২৪ জন গবেষক শিক্ষক চিকিৎসককে পিএইচএইডি কোর্সে এনরোলমেন্ট করেছে। গবেষণার মানকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা ও জ্ঞান বিনিময়ের জন্য এআইএমএস, ব্রাউন ও শিকাগো এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জেনোম সিকোয়েন্সিং রির্সাসের ফলাফল প্রকাশ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস ২০২২ উদযাপন খুবই সময়োপযোগী পদক্ষেপ, যা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত গবেষক, চিকিৎসক ও সংশি¬ষ্ট সবাইকে  যেমনি অনুপ্রাণিত করবে তেমনি দেশের চিকিৎসকবৃন্দকে চিকিৎসা সেবায় উদ্বুদ্ধ করবে। ফলে আমরা দেশে সমন্বিত উন্নয়নের গতি ধারার সাথে তাল মিলিয়ে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জাতি গঠনে সমর্থ হব।
তিনি  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat