চট্টগ্রামে সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আজ প্রেরিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর নয় ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল চট্টগ্রামের ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ১৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে শহরের ১১ জন ও উপজেলার ৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে পটিয়ায় ৪ জন এবং হাটহাজারী, সীতাকু- ও কর্ণফুলীতে একজন করে রয়েছে। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৯৯ জন। এর মধ্যে শহরের ৯৪ হাজার ৩৫৩ ও গ্রামের ৩৫ হাজার ৪৬ জন। করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৫ ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক আজকের রিপোর্টে দেখা যায়, সরকারি পরীক্ষাগারগুলোর মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ১৮ নমুনায় শহরের ২ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে পরীক্ষিত ৪ নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের একটি করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৩ ও গ্রামের একজনের শরীরে জীবাণুর উপস্থিতি মিলেছে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩৮ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৬টি নমুনায় শহরের একটিতে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ল্যাবে ১৩ নমুনায় একটিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। এভারকেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ৭টি নমুনায় শহরের একটির রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৮ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৫ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। এছাড়া, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ১০ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তিন ল্যাবে ২৯ নমুনারই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডি’তে ১১ দশমিক ১১, আরটিআরএলে ৫০, শেভরনে ৮ দশমিক ১৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫ দশমিক ২৬, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬ দশমিক ৬৬, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৭ দশমিক ৬৯, এভারকেয়ার হসপিটালে ১৪ দশমিক ২৮, মেডিকেল সেন্টার, এপিক হেলথ কেয়ার ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ এবং এন্টিজেন টেস্টে ২৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।