লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে চারজনকে দেয়া মৃত্যুদন্ডাদেশে অনুমোদন দেননি হাইকোর্ট।
এ বিষয় ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে ও আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান জানান, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবে।
এডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। মেডিকেল রিপোর্টেও ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। রায়ে তারা খালাস পেয়েছেন।
২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে কমলনগর উপজেলায় একটি ঘরের দরজা ভেঙে আট-নয়জন এক গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে। ঘুমন্ত অবস্থায় হাত-পা বেঁধে তারা গৃহবধূর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে কমলনগর থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ চারজনকে মৃত্যুদন্ড ও একজনকে খালাস দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম আবুল কাশেম।
বিচারিক আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-উপজেলার চর বসু গ্রামের ছানাউল্লাহ, আন্ডার চর গ্রামের মো. রহিম, চর কালকিনি গ্রামের মো. হারুন ও একই গ্রামের আবুল কাসেম।
পরে মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরাও আপিল করেন।