ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন এক দিগন্তের উন্মোচন করেছে প্রোটন বিম থেরাপি। এখন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ে গিয়ে এই সেবা গ্রহণ করা যাবে।
দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র প্রোটন থেরাপি সেন্টার ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো প্রোটন ক্যান্সার সেন্টারের (এপিসিসি) পক্ষ থেকে বনানীতে আজ বিকেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানেবলা হয়, ‘প্রোটন থেরাপি এক ধরনের রেডিয়েশন থেরাপি, যেখানে প্রোটন নামের ক্ষুদ্রকণার মাধ্যমে ক্যান্সার কোষের বিনাশ ঘটানো হয়। প্রোটন যদিও এ যুদ্ধে প্রয়োজনীয় রসদের জোগান দেয়, তবে এটি, ফোটন থেরাপির মতো, আক্রান্ত টিস্যুর আশেপাশে অন্যান্য সুস্থ টিস্যুর কোনো ধরনের ক্ষতি করে না। ফলে পারিপার্শ্বিক ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় এতে ক্ষতিকর টিউমারের বিনাশ ঘটাতে উচ্চ মাত্রার রেডিয়েশন প্রয়োগ করা সম্ভব হয়।
ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় প্রোটন বিম থেরাপি প্রয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন অ্যাপোলো প্রোটন ক্যান্সার সেন্টারের সিনিয়র কনসালট্যান্ট রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট ডা. স্বপ্ন নানজিয়া।
দেশে ক্যান্সারের দ্রুত ক্রমবৃদ্ধি বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি প্রোটন বিম থেরাপি প্রয়োগের মাধ্যমে কীভাবে জটিল প্রকৃতির ক্যান্সার কোষকেও নিখূঁতভাবে নিরাময় করা সম্ভব হচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে অ্যাপোলো প্রোটন ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসার নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন জামাল উদ্দিন, মিসেস নূর ই তামান্না এবং মোজাম্মল হক চৌধুরী।
মাথা, গলা, স্তন এবং জরায়ুসংশ্লিষ্ট ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ ডা. স্বপ্ন নানজিয়া প্রোটন থেরাপি বিষয়ে বলেন, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় ইতোমধ্যেই অনন্য সাফল্য দেখিয়েছে প্রোটন থেরাপি। এ মুহূর্তে অ্যাপোলো প্রোটন ক্যান্সার সেন্টারে সবচেয়ে বেশি চিকিৎসা করা হচ্ছে মাথা ও গলার ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের। আগের চিকিৎসা-পদ্ধতির তুলনায় এতে চিকিৎসা চলাকালীন ও চিকিৎসা-উত্তর ভোগান্তি একেবারেই কম। রোগীকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা কিংবা নলের মাধ্যমে খাওয়ানোর মতো জটিল পরিস্থিতিরও প্রয়োজন পড়ে না।
তিনি জানান, ‘অ্যাপোলোতে রয়েছে সর্বাধুনিক পিবিএস প্রযুক্তি, যার সুবাদে প্রতিটি টিউমারকে ধাপে ধাপে এবং স্তরের পর স্তর ভিত্তিতে পৃথকভাবে পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়।’