ডারবান টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২২০ রানের ব্যবধানে হারের জন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মোমিনুল হক। তার মতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটারদের লুজ শটের সিরিজের প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে। ব
জয়ের জন্য ২৭৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটে এটি দ্বিতীয় সর্বনি¤œ রান টাইগারদের। তবে ডারবানের কিংসমিডে সর্বনি¤œ। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবারের মত তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতে আত্মবিশ^াসের সাথেই টেস্ট সিরিজ শুরু করেছিলো বাংলাদেশ।
সেই সাথে গত জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট জয়ে, প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও ভালো খেলার ব্যাপারে আশাবাদি ছিলো টাইগাররা। শীর্ষস্থানীয় সাত খেলোয়াড়কে ছাড়াই বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
মোমিনুল মনে করেন, বাংলাদেশের আসল ক্ষতি হয়েছে চতুর্থ দিন বিকেলে। ২৭৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে টাইগাররা। তিনি জানান, পঞ্চম দিনের শেষ সেশন পর্যন্ত খেলার লক্ষ্য থাকলেও সেটি সম্ভব হয়নি।
ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের বড় ক্ষতি করেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজ। ৩২ রানে ৭ উইকেট নেন তিনি। আরেক স্পিনার সিমোন হার্মার ২১ রানে নেন ৩ উইকেট।
মোমিনুল বলেন, ‘আমরা বলের গুন বুঝে খেলার চেষ্টা করেছি। আমরা শেষ সেশন পর্যন্ত ফলাফলের জন্য তাকিয়ে থাকিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু গতকাল আমরা শেষ বিকেলে তিনটি উইকেট হারিয়েছি, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। আপনি জানেন, আমরা নিজ দেশে স্পিন খেলতে অভ্যস্ত এবং ডারবানে তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে ভালো স্পিন হবে। আমরা ব্যাট হাতে ভালো করতে পারিনি, অনেক লুজ শট খেলেছি। আমরা ভালো জুটি গড়তে পরিনি,যা আমরা প্রথম ইনিংসে পেরেছি।’
প্রথম টেস্টে আম্পায়ারিং নিয়েও কিছু অভিযোগ করেন বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। আম্পায়াররা ১১টি ভুল করেছেন, বেশিরভাগই বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে হয়েছে। মাহমুদের মতে, আম্পায়াররা ভুল সিদ্বান্ত না নিলে, ২৭৪-এর পরিবর্তে ১৮০ রানের টার্গেট পেত বাংলাদেশ।
এমনকি, ডারবান টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ারদের সিদ্বান্ত ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দলের বাইরে থেকে টুইটারে বার্তা দিয়ে সাকিব কোভিড-১৯ শিথিল হওয়ায়, অতীতের মত নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিয়ে পুনরায় ম্যাচ চালানোর জন্য আইসিসি অনুরোধ জানান।
মোমিনুল জানান, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০/৬০ রান বেশি দিয়েছিলেন তারা। যা তাদের পরবর্তীতে সমস্যায় ফেলেছে।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০-৬০ রান বেশি দিয়েছি, যা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
তবে এই টেস্ট থেকে বাংলাদেশ ইতিবাচক বিষয় খুঁজে নিতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে টাইগার পেসাররা ভালো করেছে। অবশ্য প্রোটিয়ারা নিজেদের সেরা পেসারদের ছাড়াই খেলতে নেমেছিলো।
মোমিনুল বলেন, ‘আপনি যদি নিউজিল্যান্ডসহ শেষ কয়েকটি টেস্ট এবং ওয়ানডে দেখেন, তবে আমাদের পেসাররা সত্যিই ভালো করেছে। কিছুটা আর্দ্রতা ছিল এবং আমরা তা ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি।’
আগামী ৮ এপ্রিল পোর্ট এলিজাবেথে শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ঘুড়ে দাঁড়ানোর প্রত্যয় মোমিনুলের।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরের ম্যাচে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করবো। আশা করি, খেলোয়াড়দের জন্য ভালো একটি সুযোগ হবে।’