অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫১ বছর পার করেছে। এই সময়ে অর্থনৈতিকভাবে দেশ অনেক এগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক দশকে অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পোঁছেছে। বাংলাদেশ এখন অন্যদের জন্য ‘উন্নয়নের রোল-মডেল’।
রোববার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির আকারে বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশ ৪১তম, যা ২০০৬ সালে ছিল ৬০তম। স্বাধীনতার পর আমাদের অর্থনীতি জিডিপিতে ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে সময় লেগেছিল ৩৮ বছর, যা গত ১২ বছরে চারগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্র বিস্তৃত হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে ভ্যাকসিনসহ নানা ধরনের সহযোগিতা দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ খুবই লাভজনক এবং বিনিয়োগের জন্য উত্তম স্থান। তিনি এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে আরও বেশি বিনিয়োগের জন্য মার্কিন সরকারের প্রতি আহবান জানান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও আর্থিক সক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যগত ও আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ গৃহীত পদক্ষেপ এবং টিকা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন,বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত আকর্ষনীয় জায়গা। তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুফল, বন্ধুসুলভ আচরন, কর্মক্ষম জনবলের সহজলভ্যতাসহ বিভিন্ন সুবিধার কথা যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সহযোগি হিসেবে বাংলাদেশের পাশে থাকবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।