লিটন দাস-সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলির হাফ-সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩১৪ রান করেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রান বাংলাদেশের।
সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্ট পার্কে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দলকে দারুন সূচনা এনে দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ২১ দশমিক ৩ ওভার ব্যাট করে ৯৫ রানের জুটি করেন তারা। তবে শুরুটা সাবধানী ছিলো তামিম-লিটনের। ৯১ বল খেলে দলের স্কোর ৫০ স্পর্শ করেন তারা। ১৯তম ওভারে স্পিনার কেশব মহারাজের বলে ১টি ছক্কা ও ২টি চারে ১৬ রান নেন লিটন।
২২তম ওভারে তামিমের আউটে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন স্বাগতিক পেসার আন্দিলে ফেলুকুওয়া। লেগ বিফোর হওয়ার আগে ৬৭ বল খেলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪১ রান করেন তামিম। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে লিটন-তামিম যে কোন উইকেটে সর্বোচ্চ ৯৫ রান যোগ করেন।
তামিমের আউটের পর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। হাফ সেঞ্চুরির পুর্ন হওয়ার পরের ডেলিভারিতে মহারাজের বলে বোল্ড হন লিটন। ৬৭ বল খেলে ৫০ রান করেন তিনি। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান লিটন।
চার নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম, ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। ১২ বলে ৯ রান করেন তিনি।
দলীয় ১২৪ রানে মুশফিক ফেরার পর দলের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলি। উইকেটে সেট হয়ে দ্রুত রান তুলেছেন তারা। ৩৮তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন সাকিব। ৫০তম হাফ-সেঞ্চুরি করতে ৫০ বলই খেলেন সাকিব।
হাফ-সেঞ্চুরির পর মারমুখী হয়ে উঠেন সাকিব। পরের ১৪ বল থেকে ২৭ রান তুলেন তিনি। ব্যক্তিগত ৭৭ রানে সাকিবকে থামান লুঙ্গি এনগিডি। আউট হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের পথে ৬৪ বল খেলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন সাকিব। ইয়াসিরের সাথে ৮২ বলে ১১৫ রান যোগ করেন সাকিব।
৪২তম ওভারে সাকিবের আউটের আগের বলেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ইয়াসির। পরের ওভারের প্রথম বলে বোলার রাবাদাকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইয়াসির। ৪৪ বল খেলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫০ রান করেন ইয়াসির।
সাকিব-ইয়াসিরের পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন ছোট-ছোট দু’টি ইনিংস খেলেন। এতে দলীয় ৩শ রানের পথ সহজ হয় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ৩১৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
৪৯তম ওভারে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের স্কোর ৩শতে নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। শেষ ওভারেও ১টি ছক্কা হাকান মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ১৩ বলে ২টি ছক্কায় ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। ৫ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন তাসকিন আহমেদ। মাহমুদুল্লাহ ১৭ বলে ২৫ ও আফিফ ১৩ বলে ১৭ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার র্মাকো জানসেন-মহারাজ ২টি করে উইকেট নেন।