কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সিলেট অঞ্চলের কৃষির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে ও বিশাল এলাকার পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য ইতোমধ্যে ২২৬ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সিলেট সার্কিট হাউজে সিলেট অঞ্চলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সিলেটের কৃষি প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, সিলেটের হাওর, টিলা ও সমতলে কৃষির সম্ভাবনা অনেক। অনেক জমিও পতিত থাকে। এসব পতিত জমিকে কীভাবে চাষের আওতায় আনা যায়, টিলাতে কীভাবে কমলা, জাম্বুরা, কফি, কাজুবাদামসহ ফলের চাষ করা যায়, সে বিষয়ে কাজ চলছে।
সভায় সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, সিলেট অঞ্চলের ডিএই’র অতিরিক্ত পরিচালক দিলীপ কুমার অধিকারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সিলেট অঞ্চলের কৃষির সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে উপস্থাপনা করেন উপ-পরিচালক কাজী মজিবুর রহমান।
উপস্থাপনায় জানানো হয়, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় মোট জমির পরিমাণ ১২ লাখ ৫০ হাজার ৫৩২ হেক্টর। চাষযোগ্য বা ফসলী জমি রয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৪ হেক্টর। এর মধ্যে এক ফসলি জমিই অর্ধেক অর্থাৎ ৪৯ শতাংশ। ফসলের নিবিড়তা ১৬০ ভাগ, যা দেশের অন্য বিভাগের তুলনায় সবচেয়ে কম। অন্যদিকে পতিত জমি রয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯৯ হেক্টর।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নাম জমা না দিলেও সার্চ কমিটিতে যে নাম এসেছে, তাতে ভাল কমিশন গঠন সম্ভব হবে।
ড. রাজ্জাক আরো বলেন, নির্বাচন বর্জন করে, আন্দোলন করে বিএনপি নিজেদের ক্ষতি করেছে, জাতির ক্ষতি করেছে।
পরে কৃষিমন্ত্রী কৃষিযন্ত্র তৈরির স্থানীয় প্রতিষ্ঠান আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ পরিদর্শন করেন।