প্রাথমিক থেকে শুরু করে সকল শিক্ষাস্তরে গ্রন্থাগার চালুর বিষয়টি আমাদের শিক্ষানীতিতে রয়েছে।আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এলআইএস পেশাদারদের ভূমিকার ওপর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সবার জন্য দেশব্যাপী গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হবে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় লক্ষ্য হবে সারাদেশে গ্রন্থাগার স্থাপন করা। যেন একটি বই পেতে কাউকে তার নিজ বাসস্থান থেকে এক মাইলের বেশি যেতে না হয়।
তিনি বলেন, গ্রন্থাগারিকদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে গত ৩১ মে জারিকৃত এমপিও নীতিমালায় স্কুল-কলেজ এমপিও নীতিমালায় কলেজের গ্রন্থাগারিক পদটিকে প্রভাষক (গ্রন্থাগার) পদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
আর সহকারী গ্রন্থাগারিক পদটিকে সহকারি শিক্ষকের (গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান) সমান মর্যদা দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গ্রন্থাগারের উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। এর উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রমে গ্রন্থাগারের প্রতি সরকারের সদিচ্ছা প্রকাশ পাচ্ছে।
বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি আয়োজিত অনুষ্ঠানে৷ বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির (ল্যাব) সভাপতি মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্য অধ্যাপক নাসির উদ্দিন মুন্সিসহ বিভিন্নজন বক্তব্য রাখেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রন্থাগারিকদের আরও প্রশিক্ষিত হতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়েও যেন লাইব্রেরি করা হয়, সে বিষয়ে তিনি পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, লাইব্রেরিগুলো ডিজিটাল হবে। সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।