শিক্ষার্থীদের মানসিকতার পরিবর্তনে শিক্ষকদের ভূমিকা রয়েছে। তাদের মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের জন্য যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক তৈরি করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
আজ দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজার নির্বাচিতদের শিক্ষকদের নিয়োগপত্র তুলে দিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপুমনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,শিক্ষকদের জীবনব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। আজ যারা নিয়োগ পাচ্ছেন,তারা নানা ধরনের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন ও যাবেন। কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন,যত বেশি সম্ভব প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। যারা নিয়োগ পাচ্ছেন তারা কর্মজীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য,যখন যেসব প্রশিক্ষণের পর তারা নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলবেন। তাদেরসফল হতে হলে প্রথম থেকেই যত ধরনের প্রশিক্ষণ নেওয়া সম্ভব, তা গ্রহণ করতে হবে।
প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার সম্পর্কে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তি আপনার কাজ আরও দক্ষতার সঙ্গে করতে সহায়তা করে। কাজেই প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। এই প্রযুক্তি আপনার কাজ আপনাকে আরো দক্ষ করে তুলবে। আপনারা প্রযুক্তিকে ভয় পাবেন না, একে আপন করে নিন, কাজের হাতিয়ার করে নিন।’
দীপু মনি বলেন, তৃতীয় নিয়োগ চক্রের মোট ৩৪ হাজার ৭৩ জনের সুপারিশপত্র প্রেরণের পদ ভিত্তিক পরিসংখ্যান হলোÑ প্রভাষক পদে ৬ হাজার ৫০১ জন,সহকারী শিক্ষক পদে ২৪ হাজার ৪১৮ জন,সহকারী মৌলভী পদে ১ হাজার ৫২৮ জন, ইবতেদায়ী মৌলভী পদে ৩৫৫ জন, ট্রেড ইস্ট্রাক্টর ৩৮৯ জন,ইনস্ট্রাকটর ১০০ জন,জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর ৬ জন,প্রদর্শক ১৯৪ জন,ইবতেদায়ী ক্বারী ৯৩ জন,ইবতেদায়ী শিক্ষক ৪৮৯ জন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক সংকট রয়েছে, শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই ভেরিফিকেশন চলমান থাকা অবস্থায় তাদেরকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে যে, ভেরিফকেশনে কোনো বিরূপ কিছু থাকলে তাকে বাদ দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান।
উল্লেখ্য,শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ভেরিফিকেশন চলমান অবস্থায় ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আরো ২ হাজার ৬৫ জনকে সুপারিশ করা হবে।
বাকি প্রার্থীদের মধ্যে ৪ হাজার ১৯৮ জনের ভেরিফিকেশনের ‘ভি’রোল ফরম না পাঠানো, নয় জনের প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ হওয়া,তিন জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১০ নম্বর শর্ত ভঙ্গ করে মহিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক পদে আবেদন করাসহ বিভিন্ন কারণে মোট ৪ হাজার ২১০ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি। যেসব প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি তাদের তালিকা এনটিআরসিএ ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আইডি-পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সুপারিশপত্র ডাউনলোড করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সুপারিশপত্রে উল্লেখিত তারিখের মধ্যে যোগদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।