মাহমুদুল্লাহ-তামিমের মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকাকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অষ্টম আসরে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আজ বিপিএলের চতুর্থ ও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম ৩০ রানে হারিয়েছে ঢাকাকে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৬১ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে ১৩১ রানে অলআউট হয় ঢাকা।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছিলো চট্টগ্রাম। আর মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছিলো ঢাকা।
প্রথম ম্যাচে হারের পর ঘুড়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
বল হাতে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পান পেসার রুবেল হোসেন। সিলেটের ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেনার লুইসকে ২ রানে লেগ বিফোর আউট করেন রুবেল।
শুরুতে উইকেট হারালেও ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন ইংল্যান্ডের উইল জ্যাকস। পাওয়ার-প্লের সুবিধা কাজে লাগিয়ে সপ্তম ওভারে দলকে হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছে দেন জ্যাকস। লুইসকে সঙ্গ দেয়া আফিফ হোসেন সপ্তম ওভারেই ১২ রান করে থামেন। পরের ওভারে জ্যাকসকে আউট করেন স্পিনার শুভাগত হোম। ২৪ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ রান করেন জ্যাকস। এতে ৫৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম।
চার নম্বরে নেমে ঢাকার বোলারদের কাউন্টার অ্যাটাক করেন সাব্বির রহমান। দারুণ শুরুর পরও ২৯ রানে আউট হন সাব্বির। ২টি করে চার-ছক্কা মারেন তিনি। অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের সাথে চতুর্থ উইকেটে ৪৪ রান যোগ করেন সাব্বির। মিরাজ ৪টি চারে ২৫ বলে ২৫ রান করেন।
এ ম্যাচে ইনিংসের শেষ দিকে ঝড় তুলেছেন বিনি হাওয়েল। ইনিংসের শেষ বলে আউট হবার আগে ১৯ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৭ রান তুলেন হাওয়েল। ফলে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬১ রান পায় চট্টগ্রাম। ঢাকার সফল বোলার রুবেল হোসেন ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন।
১৬২ রানের লক্ষ্যে এ ম্যাচে ভালো শুরু পায় ঢাকা। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও আফগানিস্তানের আহমেদ শাহজাদ পাওয়ার প্লেতে ৪২ রান তুলেন। এরমধ্যে ৩২ রানই ছিলো তামিমের। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পেসার মুকিদুলের বলে আউট হওয়ার ১২ বলে ৯ রান করেন শাহজাদ।
দারুন কিছু শটে চার-ছক্কা আদায় করে ৪২ বলে সংক্ষিপ্ত ভার্সনে ৪২তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম। গতকাল প্রথম ম্যাচের মত হাফ-সেঞ্চুরির পর আজও উইকেটে টিকতে পারেননি তামিম। শরিফুলের বলে বোল্ড হবার আগে ৪৫ বলে ৫২ রান করেন তামিম। ৬টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো তামিমের ব্যাটে।
তামিমের আউটের পর যাওয়া-আসার মিছিলে সামিল হন ঢাকার ব্যাটাররা। ৯৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় তারা। জহিরুল ইসলাম ১০, মোহাম্মদ নাইম ৪, অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটার আন্দ্রে রাসেল ১২ রানে ফিরেন। রাসেলের আউটের পরই ঢাকার জয়ের আশা নিভে যায়।
শেষ পর্যন্ত ১ বল বাকী রেখে ১৩১ রানে অলআউট হয় ঢাকা। শেষ দিকে শুভাগত ১৩ ও শ্রীলংকার ইসুরু উদানা ১৬ রান করে হারের ব্যবধান কমিয়েছেন। চট্টগ্রামের শরিফুল ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৬১/৮, ২০ ওভার (জ্যাকস ৪১, হাওয়েল ৩৭, রুবেল ৩/২৬)।
মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা : ১৩১/১০, ১৯.৫ ওভার (তামিম ৫২, উদানা ১৬, শরিফুল ৪/৩৪)।
ফল : চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৩০ রানে জয়ী।