দেশের ৪১৭ উপজেলা থেকে বাছাই পর্বের মাধ্যমে জেলা পর্যায় ও বিভাগীয় পর্যায় শেষ করে আগামী ২৯ ডিসেম্বর কোর্টে গড়াচ্ছে ‘আইজিপি কাপ-২০২১ জাতীয় যুব কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর বালক ও বালিকা বিভাগের চূড়ান্ত পর্ব। ২ জানুয়ারি শেষ হবে অনূর্ধ্ব-১৯ বয়সভিত্তিক এ প্রতিযোগিতা। চূড়ান্ত পর্বের খেলাগুলো হবে ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে।
উপজেলা-জেলা পর্যায় শেষে ইতোমধ্যে বিভাগীয় পর্বের খেলা শুরু হয়েছে। বালক বিভাগে ৫৮ ও বালিকা বিভাগে ৫১ জেলা এ পর্বে অংশগ্রহণ করছে। এরপর দলগুলোকে আট অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। দুই বিভাগে আট অঞ্চলের শীর্ষ দুটি করে দল শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে।
আজ বিকেলে ঢাকায় কাবাডি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের লোগো উন্মোচিত হয়েছে। এসময় প্রতিযোগিতার নানা তথ্য তুলে ধরেন আয়োজকরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাবাডি ফেডারেশনের সহসভাপতি ও পৃষ্ঠপোষক রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক-১ ও অতিরিক্ত ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট) গাজী মো. মোজাম্মেল হক এবং ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও টুর্নামেন্টের সদস্য সচিব নেওয়াজ সোহাগ।
প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্বে ৫৮ জেলার ৪১৭ উপজেলার ৪১৭১ ইউনিয়ন ও বালিকা বিভাগে ৫১ জেলার ৩৯৮ উপজেলার ৩৮৯৭ ইউনিয়ন অংশগ্রহণ করেছে। বালক বিভাগে ৫০,০৫২ জন খেলোয়াড় ও ১২,৫১৩ কোচ-কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন। বালিকা বিভাগে ৪৬,৭৬৪ খেলোয়াড় ও ১১,৬৯১১ কোচ-কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট কমিটির সহ সভাপতি গাজী মো. মোজাম্মেল হক বলেন, কোভিড-১৯-এর কারণে দেশের ক্রীড়াঙ্গন ঝিমিয়ে পড়েছিল। জড়তা কাটাতে আমরা আইজিপি কাপ জাতীয় যুব কাবাডি জমকালো ভাবে আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, সামনে যুব বিশ্বকাপ কাবাডি রয়েছে। সে আসরের জন্য খেলোয়াড় বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গেল আসরে আমরা তৃতীয় হয়েছি। এবার আরও উন্নতি করতে চাই। ইতিমধ্যে এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে খেলোয়াড়দের ফিটনেস উন্নতির জন্য কাজ শুরু হয়েছে। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচদের মানোন্নয়নে ভারত থেকে দুজন কাবাডি বিশেষজ্ঞ আনা হয়েছে। নারী ও পুরুষ দুই দলকে প্রস্তুতির জন্য ভারতে পাঠানো হবে। সেখানে অনুশীলনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাদেশিক দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ দল।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে গাজী মো. মোজাম্মেল হক বলেন, বৈশ্বিক আসরে ভারত-পাকিস্তানের তুলনায় আমরা পিছিয়ে আছি- এ কথা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কাবাডিতে শীর্ষ দলগুলোর সাথে পার্থক্য কমিয়ে আনতে সময়ের প্রয়োজন। যে কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে, দ্রুতই তার সুফল পাওয়া যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।