দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। তবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে যে কোন সময় বাবা ইমরান শরীফ শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট আহসানুল করিম। তাকে সহযোগিতা করেন এডভোকেট শিশির মনির। বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট ফাওজিয়া করিম। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মারুফুল ইসলাম।
গত ৫ ডিসেম্বর দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিজের জিম্মায় নিতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন জাপানি মা নাকানো এরিকো।
গত ২১ নভেম্বর জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা বাংলাদেশে তাদের বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দেন হাইকোর্ট। সে রায়ে বলা হয়, জাপান থেকে এসে মা বছরে তিন বার ১০ দিন করে দুই সন্তানের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে পারবেন। জাপানি মায়ের আসা-যাওয়া ও থাকা-খাওয়ার সব খরচ বাবা ইমরান শরীফকে বহন করতে হবে। রায়ে বলা হয়, রিটটি চলমান থাকবে।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর দুই শিশু জেসমিন মালিকা, লাইলা লিনা ও তাদের বাবা মায়ের সঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা খাসকামরায় কথা বলেন। ওইদিন সকালে দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে আপিল বিভাগে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। জাপানি মায়ের আনা আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। শিশুদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী শিশুদের উপস্থিত করা হয়েছিল।
আপিল বিভাগের আদেশ থাকা সত্ত্বেও দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে হস্তান্তর না করায় শিশুদের বাবা ইমরান শরীফের বিরুদ্ধে এ আদালত অবমাননার আবেদনটি করা হয়। ১৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়। এর আগে ১২ ডিসেম্বর দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর জাপানি মায়ের জিম্মায় রাখতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।