টোকিওতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য জাপানী ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে গত ১৬ নভেম্বর জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ : এ ল্যান্ড অফ ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিস’ শীর্ষক এক বিজনেস সেমিনারে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহবান জানান।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাপানি ব্যবসায়ীদের সম্মানে আয়োজিত এ বিজনেস সেমিনারে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ কাউন্সিলের (এফ ই সি) প্রেসিডেন্ট কেন মাতসুজাওয়াসহ জাপানের নেতৃস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূত আগত অতিথিদের স্বাগত জানান। পরে, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
আজ বুধবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সেমিনারে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বিগত এক যুগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সার্বিক উন্নয়ন বিশ্লেষণ করেন। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, করোনা (কভিড-১৯) মহামারিকালীন বাংলাদেশ গত বছর ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ‘বাংলাদেশকে বিনিয়োগ ও ব্যবসা বান্ধব সঠিক একটি গন্তব্য হিসেবে অভিহিত করেন, যেখানে সরকার বিভিন্ন সহযোগিতা দান করছে এবং বিনিয়োগের নিরাপত্তার পাশপাশি এখানে বেশি মুনাফা করা সম্ভব।’
ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট কেন মাতসুজাওয়া তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি এ ধরনের একটি সেমিনার আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ধন্যবাদ জানান। কেন মাতসুজাওয়া বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই সেমিনারে মতবিনিময় ও আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে তথ্য প্রযুক্তি, নির্মাণ শিল্প, মেডিকেল কেয়ারসহ বিভিন্ন খাতে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।’
এর পর, বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা নিয়ে ফোকাল-পয়েন্ট পেপার উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ। বিনিয়োগ গন্তব্য হিসাবে বাংলাদেশ শিরোনামে পেপার উপস্থাপনা করেন কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ড. আরিফুল হক।
এদিকে, এই সেমিনারে জাপানে বাংলাদেশের দক্ষ শ্রমিক নিয়োগের সম্ভাবনা ও করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন শ্রম কাউন্সেলর মো. জাকির হোসেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মিশন উপ-প্রধান শাহ আসিফ রহমান ‘অনুষ্ঠান-আয়োজন’ সংশ্লিষ্ট সকলকে এবং অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান।
এই সেমিনার আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) মুহা. শিপলু জামান।