×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০২১-১০-২৬
  • ৪৩৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) দাতার অর্থ আকর্ষণ বাংলাদেশের জন্য যৌক্তিক ব্যয় এবং আর্থিকভাবে টেকসই বিনিয়োগ পরিকল্পনার উপর জোর দিয়েছে।
এক ইমেইল সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে আইএমএফের মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ বলেন, যেহেতু জলবায়ু অর্থায়নের চাহিদা বড়, অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক তহবিলের সংমিশ্রণ (দাতাদের সহায়তায় বড় অংশে অর্থায়ন) প্রয়োজন। সাম্প্রতিক সকল দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তনকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, কিন্তু মনে হচ্ছে বিশেষ করে কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আর্থিক সীমিত সক্ষমতা, ব্যাপক আকারের এবং ব্যয়বহুল জলবায়ু টেকসই বিনিয়োগকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। তাই দাতার অর্থ আকর্ষণের জন্য যৌক্তিক ব্যয় এবং আর্থিকভাবে টেকসই বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু ঝুঁকির প্রভাব প্রশমনের লক্ষ্যে কতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সমস্ত রপ্তানি খাতে আরও দক্ষ, পরিচ্ছন্ন যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য স্বল্প সুদের দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) চালু করা। রাহুল আনন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১১ সালে ব্যাংকগুলো এবং ২০১৩ সালে ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য গ্রিন ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে। এই নির্দেশিকায় প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গ্রিন ব্যাংকিং নীতি, পরিচালন ব্যবস্থা প্রণয়ন এবং জলবায়ু ঝুঁকি তহবিল (সিআরএফ) গঠনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বাংলাদেশের কর রাজস্ব থেকে জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশেরও কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, যা টেকসই অবকাঠামোতে ব্যয় বাড়ানোর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের পরিকাঠামোগত লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সরকারের ক্ষমতাকে সীমিত করে।
অতএব, কর উৎসের সম্প্রসারণ এবং কর প্রশাসনের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহের উন্নতি সাধনই এক্ষেত্রে একমাত্র অগ্রাধিকার বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরো ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ মূল্যায়ন উত্তরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঋণ প্রদান এবং তত্ত্বাবধান জলবায়ু অর্থায়নের আর্থিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। সংস্কারের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে ব্যাংকিং বিধি নিয়ন্ত্রণ ও তদারকিকে শক্তিশালী করা, কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের উন্নতি এবং আইনি ব্যবস্থার সংস্কার। রাহুল আনন্দ বলেন, কর্তৃপক্ষ আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করার জন্য বেশ কয়েকটি বিধান ও আইন সংশোধন করছে এবং এগুলোকে সেরা আন্তর্জাতিক অনুশীলনের সঙ্গে সমন্বিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat