চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে নতুন ৩১ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণের হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ সময় আক্রান্তদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর নয় ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ২ হাজার ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৩১ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৫ জন ও নয় উপজেলার ১৬ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানে ৬ জন, বাঁশখালী ও ফটিকছড়িতে ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া, সীতাকু-, মিরসরাই, আনোয়ারা, চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লাখ ১ হাজার ৯৭১ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৩ হাজার ৮০৮ জন শহরের ও ২৮ হাজার ১৬৩ জন গ্রামের বাসিন্দা।
গতকাল করোনায় গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩১০ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭২০ ও গ্রামের ৫৯০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে। এখানে ৯৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১ জন ও গ্রামের ৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৫১৫ জনের নমুনায় শহর ও গ্রামের ২ জন করে ব্যক্তির শরীরে জীবাণু চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮৯ নমুনার মধ্যে শহরের ৩টি আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের এক ও গ্রামের ৫ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১২২ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ৫ ও গ্রামের একজন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ১৩ নমুনায় গ্রামের ৩টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৪৪ নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ২ টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৯৭ নমুনার মধ্যে গ্রামের ৩ টি ও ল্যাব এইডে ২টি নমুনার একটিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ২২টি ও মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৫টি নমুনা পরীক্ষায় একটিতেও করোনার জীবাণু মিলেনি।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ০ দশমিক ৪২ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৭৭, চমেকে ৩ দশমিক ৩৭, চবিতে ১১ দশমিক ৯০, এন্টিজেন টেস্টে ৪ দশমিক ৯২, আরটিআরএলে ২৩ দশমিক ০৭, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৮২, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩ দশমিক ০৯ ও ল্যাব এইডে ৫০ শতাংশ এবং এপিক হেলথ কেয়ার ও মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়।