চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার দশ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। সংখ্যায় ও আড়াই মাসের মাসের মধ্যে গত দু’দিন সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন দুই জন ও করোনামুক্ত হন ৫৫২ জন। হোম আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে নতুন করে যুক্ত হন ১৭২ জন। ছাড়পত্র নেন ৪০৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৭৫৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট অনুয়ায়ী, গতকাল বৃহ্সতিবার এন্টিজেন টেস্ট ও আটটি ল্যাবে ১ হাজার ৪৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১৪০ জনের মধ্যে শহরের ৮১ এবং ১৩ উপজেলায় ৫৯ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৯৯ হাজার ৭৬৬ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭২ হাজার ৫০৪ ও গ্রামের ২৭ হাজার ২৬২ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৫৯ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ফটিকছড়িতে ১৮, হাটহাজারীতে ১৬, সীতাকু-ে ৮, বোয়ালখালীতে ৬, রাউজান ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং মিরসরাই, সন্দ্বীপ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, পটিয়া ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় শহর ও গ্রামের একজন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২৩৯ জন। এর মধ্যে ৬৯৩ জন শহরের ও ৫৪৫ জন গ্রামের। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ৫৫২ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৭৩ হাজার ১২৭ জনে উন্নীত হয়। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ৮৭১ ও বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৬৩ হাজার ২৫৬ জন।
উল্লেখ্য, গতকালের ২ জনসহ এ মাসের প্রথম দু’দিনে কভিড-১৯ এ ৭ জন মৃত্যুবরণ করেন। আক্রান্ত হন ২৮০ জন এবং আরোগ্যলাভ করেন ১ হাজার ১৩৫ জন।
রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে শহরের ২৯ ও গ্রামের ২৮ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৩ ও গ্রামের ৯ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনায় শহরের ১৭ ও গ্রামের ১৬ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। ১৮ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের ২ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৪ জনের নমুনায় নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিকে, বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৬৪ নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২ ও গ্রামের ১টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৫ নমুনার মধ্যে শহরের ৪টি এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ২৯ নমুনায় শহরের ৬ ও গ্রামের ২টিতে ভাইরাসের প্রমাণ মিলে।
চট্টগ্রামের ৫৪টি নমুনা এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের একটির পজিটিভ এবং বাকীগুলোর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
তবে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও মেডিকেল সেন্টারে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ, চমেকে ৯ দশমিক ৬৭, সিভাসু’তে ১৭ দশমিক ৫৫, এন্টিজেন টেস্টে ১১ দশমিক ১১, আরটিআরএলে ০ শতাংশ, শেভরনে ০ দশমিক ৮২, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ২৭ দশমিক ৫৮ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।