- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-০৬
- ৭৯৬ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস শুক্রবার (৬ এপ্রিল)। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ক্রীড়ায় শান্তির সমাবেশ, উন্নয়নে বাংলাদেশ’।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এ সব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র্যালি, আলোচনা সভা ও ক্রীড়া আয়োজন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবসে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেট থেকে একটি র্যালি বের করা হবে। র্যালিটি জিপিও, শিক্ষাভবন, জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে এনএসসি টাওয়ারে এসে শেষ হবে। বিভিন্ন শ্লোগান, ব্যানার ও ফেষ্ঠুনসহ দেশের বরেণ্য ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়ামোদী জনগণ এ র্যালিতে অংশগ্রহণ করবে।
র্যালি শেষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আয়োজিত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ‘শান্তি ও উন্নয়নে ক্রীড়া’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বরেণ্য ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকবৃন্দ এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন।
এছাড়া বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন নিজ নিজ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য প্রীতিম্যাচের আয়োজন করবে।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘খেলাধুলা আমাদের জীবনযাপনের একটি অংশ। খেলাধুলা চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবে শিশু ও তরুণদের মেধা ও মননের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয় প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব, শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্বজ্ঞান ও কর্তব্যপরায়ণতা।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাধুলা একটি দেশের পরিচিতি ও সম্মান বৃদ্ধিরক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য, সংহতি ও দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে। বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরিতেও খেলাধুলা সহায়ক ভূমিকা রাখে।’
আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন খেলাধুলায় সাফল্য অর্জন করেছে। বিভিন্ন বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায়ও বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা সাফল্য বয়ে আনছে তাই একটি উদীয়মান দেশ হিসেবে বাংলাদেশে খেলাধুলার প্রসার ও মানোন্নয়নে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস পালন অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের খেলাধুলার মানোন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। জেলা থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়েও গড়ে তোলা হচ্ছে ক্রীড়া অবকাঠামো। ফলে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে জাগরণের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলা সাংস্কৃতিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করে। অপরাধ প্রবণতা কমায়। খেলাধুলা যুবসমাজকে বিপথগামী হওয়া থেকে রক্ষা করে। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখে।
প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়ানুরাগীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং আনন্দ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, তখনই খেলাধুলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমরা গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ করেছি। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত স্টেডিয়াম নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার সরঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন হচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে একাধিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। আমরা খেলাধুলার প্রসারে আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিকেএসপি ও শারীরিক শিক্ষা কলেজসমূহের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন আমাদের ক্রীড়াবিদরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গণে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..