বাংলাদেশ থেকে প্রতি-বছর ১৩০ জন করে আগামী তিন বছরের জন্য মোট ৩৯০ জন ছাত্রছাত্রী হাঙ্গেরিতে পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির মধ্যে ‘স্টাইপেনডিয়াম হাঙ্গেরিকাম প্রোগ্রাম’ শীর্ষক সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ি এসব বাংলাদেশী শিক্ষার্থী হাঙ্গেরিতে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন।
গত ৩০ জুন হাঙ্গেরি ও বাংলাদেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া এবং স্লোভাকিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এবং হাঙ্গেরির পক্ষে সে দেশের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণলয়ের কূটনীতিক একাডেমি ও ‘স্টাইপেনডিয়াম হাঙ্গেরিকাম’ বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি ড. ওরসোলিয়া প্যাকসে-তোমাসসি এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতবাসের মিনিস্টার ও মিশন উপপ্রধান রাহাত বিন জামান এবং বুদাপেস্টে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল ডঃ গ্রেগ পাতাকি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বুদাপেস্টে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নতুন সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ও পেশাজীবিদের নিউক্লিয়ার এনারজেটিকস বিষয়ে পড়াশোনার জন্য বছরে নতুন ৩০ জন শিক্ষার্থীর বৃত্তি নতুনভাবে সংযোজিত হয়েছে।
উল্লেখ্য্য, ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী গত তিন বছর ধরে হাঙ্গেরি সরকার বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বার্ষিক ১০০-টি বৃত্তি প্রদান করে আসছে। নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী হাঙ্গেরি আগামী তিন বছর বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ১৩০ টি করে বৃত্তি প্রদান করবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে দু’দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠককালে বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ নিয়েও কার্যকর আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষর, যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, পানি ব্যবস্থাপনা ও কৃষিসহ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক ও ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ ঘোষণার ফলোআপ, ২০২১ সালে বুদাপেস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে যৌথ উদযাপন, বহুপাক্ষিক বিষয়াবলীতে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সমর্থন এবং হাঙ্গেরির কূটনীতিক একাডেমিতে বাংলাদেশী তরুণ কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরসহ প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়।