চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়। নতুন করে ২৭৪ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার করোনার চলমাণ প্রকোপের সর্বোচ্চ ২৮ দশমিক ০৭ শতাংশ। এদিন জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর দশটি,পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ৯৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ২৭৪ জনের মধ্যে শহরের ১৬০ ও ১৩ উপজেলার ১১৪ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৭ হাজার ১৫৪ জন। এর মধ্যে শহরের ৪৪ হাজার ৭৮৭ ও গ্রামের ১২ হাজার ৩৬৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ২৯, ফটিকছড়িতে ১৭, আনোয়ারায় ১৫, মিরসরাইয়ে ১৪, সীতাকু-ে ১০, রাউজানে ৮, বোয়ালখালীতে ৭, রাঙ্গুনিয়ায় ৪ জন, লোহাগাড়া ও পটিয়ায় ৩ জন করে, সন্দ্বীপে ২ জন এবং বাঁশখালী ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহরের ২ ও গ্রামের ৩ জন মারা যান। মৃতের সংখ্যা এখন ৬৭১ জন। এতে শহরের ৪৬৬ ও গ্রামের ২০৫ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৩৬ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৪৮ হাজার ৬৭৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৩৮১ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ৪২ হাজার ২৯৩ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে যুক্ত হন ৩৫ জন। ছাড়পত্র নেন ৩০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১৪২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৫ ও গ্রামের ১১ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮৫টি নমুনায় শহরের ২০ ও গ্রামের ৩০টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২৬ ও গ্রামের ৫২ জনের দেহে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৩২ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২০ ও গ্রামের ১১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৩০টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২টিসহ ৬টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি নমুনায় পরীক্ষা করা হলে সেটিও পজিটিভ হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৯০টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২টিসহ ১৮টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৬ নমুনার মধ্যে শহরের ১৭টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭টি নমুনার মধ্যে শহরের ৮ ও গ্রামের ৪টি, মেডিকেল সেন্টারে ১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৭টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৪টি নমুনায় গ্রামের একটিসহ ১৮টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এদিন, চট্টগ্রামের চারটি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবক’টির রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১৫ দশমিক ৩২ শতাংশ, সিভাসু’তে ২৭ দশমিক ০৩, চবি’তে ৫৭ দশমিক ৩৫, চমেকে ২৩ দশমিক ৪৮,আরটিআরএল-এ ২০ শতাংশ, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শতভাগ, শেভরনে ২০ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ২৫ দশমিক ৭৬, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৪ দশমিক ৪৪, মেডিকেল সেন্টারে ৪৩ দশমিক ৭৫ এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৩ দশমিক ৩৩ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।