সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় যৌতুকের জন্য স্ত্রী নির্যাতন মামলায় উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ ইকবাল হোসেন শাহ (৪০) নামের এক স্কুল শিক্ষক ও তার প্রথম স্ত্রী সোনিয়া পারভীন মিনাকে গ্রেপ্তার করেছে। এদেরকে সোমবার রাতে ইকবালের উল্লাপাড়ার পৌরশহরের শ্যামলীপাড়া পুকুরপাড় বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত ইকবাল উপজেলার পূর্ব বংকিরাট গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে এবং দাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার দ্বিতীয় স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা (৩০) মঙ্গলবার ইকবাল ও তার প্রথম স্ত্রী সোনিয়া পারভীন মিনার বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মডেল থানায় যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন।
উল্লাপাড়ার বেতকান্দি গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে পাপিয়া সুলতানা জানান, ইকবাল হোসেনের সঙ্গে ২০২০ সালের আগষ্ট মাসে পাপিয়ার বিয়ে হয়। এর আগে একই গ্রামের সোনিয়া পারভীন মিনার (৩০) সঙ্গে ইকবালের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই প্রথম স্ত্রী মিনার সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। দ্বিতীয় দফায় পাপিয়ার সঙ্গে বিয়ের সময় ইকবালকে যৌতুক হিসেবে ৫ ভরি সোনার গহনা ও নগদ আড়াই লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও ইকবাল পাপিয়ার কাছে ১০ লাখ টাকার যৌতুক দাবি করে। এতে অসম্মতি জানালে পাপিয়াকে ইকবাল প্রায়শই মারধর করতেন। কিন্তু কয়েকদিন আগে প্রথম স্ত্রী সোনিয়া পারভীন মিনাকে ইকবাল তার শ্যামলীপাড়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর পাপিয়ার সংসারে চরম বিপত্তির সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার ইকবাল পাপিয়ার কাছে আবারো ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। পাপিয়া অপারগতা প্রকাশ করলে ইকবাল এবং তার প্রথম স্ত্রী মিনা দুজনে মিলে পাপিয়াকে বেধড় মারপিট করে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পার্শ^বর্তী লোকজন এগিয়ে এসে পাপিয়াকে উদ্ধার করেন। পরে পাপিয়া মঙ্গলবার স্বামী ইকবাল ও প্রথম স্ত্রী মিনার বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মডেল থানায় যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। ইতিপূর্বেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, ইকবাল ও তার প্রথম স্ত্রী সোনিয়া পারভীন মিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বুধবার তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করেছে।