বাণিজ্যিকভাবে সোনালি ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য কাজ করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।আজ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, সোনালি ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনকে (বিজেএমসি) যথাযথ নির্দেশনা এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আজ দুপুরে বিজেএমসি নিয়ন্ত্রনাধীন লতিফ বাওয়ানী জুট মিলের সোনালী ব্যাগ প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে সরজমিনে পরিদর্শন করেন।
এ সময় বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রউফ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (পরিকল্পনা) মোঃ জিল্লর রহমান চৌধুরী, সোনালি ব্যাগের উদ্ভাবক ও বিজেএমসি’র বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক হোসেনের উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত পলিথিনের বিকল্প পচনশীল সোনালি ব্যাগ দেখতে প্রচলিত পলিথিনের মতোই হালকা, পাতলা ও টেকসই। পাটের সুক্ষ্ম সেলুলোজকে প্রক্রিয়াজাত করে এ ব্যাগ তৈরি করা হয়েছে। পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ মাটিতে ফেললে তা মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। ফলে পরিবেশ দূষিত হবে না। এই ব্যাগ দামে সাশ্রয়ী হবে। এভাবে পাটের ব্যবহার বাড়লে ন্যায্য দাম পাবেন কৃষক। অতীতের মতোই, বাংলাদেশ পাট দিয়েই বিশ্বব্যাপি সুপরিচিত হবে ।
পরিদর্শনের সময় সোনালি ব্যাগ প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক আহমদ খান প্রকল্পের কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক ও অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
সোনালী ব্যাগ পরিবেশবান্ধব ও প্রচলিত ব্যাগের চেয়ে শক্তিশালী হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এর চাহিদা রয়েছে। তাই সোনালি ব্যাগ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন।