যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্যদিয়ে আজ সারাদেশে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে।
সংবাদদাতাদের পাঠানো খবরে জানা যায়-
মেহেরপুর : প্রত্যুষে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সূচনা করা হয়। এরপর সূর্যোদয়ের সঙ্গে-সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করা হয়। সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। কোভিড ১৯ এর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, এরপর জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, সিভিল সার্জন, আওয়ামী লীগ, জেলা পরিষদ, মেহেরপুর পৌরসভা, এলজিইডি, গণপুর্ত বিভাগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। এরপর শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
শরীয়তপুর : সূর্যোদয়ের সঙ্গে-সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসুচি শুরু হয়। এরপর শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু পুস্পস্তবক অর্পণ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পর্যায়ক্রমে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, পুলিশ সুপার এস এম আশ্রাফুজ্জামান, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, বধ্যভূমি ও গণকবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী, শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রীতি ফুলবল প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হাসপাতাল, শিশু পরিবার, জেলখানা ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া এবং প্রার্থনা। বিকেলে জেলা শিল্পকলা মাঠে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
জয়পুরহাট : ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে-সঙ্গে ৫০ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসুচি শুরু হয়। শহরের শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক করে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। স্মৃতিসৌধে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. সামছুল আলম দুদু, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোলায়মান আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায়, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। সকাল ৮ টায় ষ্ট্রেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। করোনা প্রাদূর্ভাবের কারণে সরকারের নির্দেশনায় এবার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেনি। শুধুমাত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, জেলা কারাগার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বিএনসিসি, জেলা রোভার স্কাউট, জেলা স্কাউট ও গালর্স গাইড দল অশগ্রহণ করে। এখানে জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এ্যাড: সামছুল আলম দুদু, জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসন আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগদান করেন।
নড়াইল : ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সুচনা করা হয়। পরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে-সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ, গণকবর, বধ্যভূমি, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও চেতনা চত্বর ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, বিশেষ দোয়া, কুচকাওয়াজ, বীরমুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো, করা হয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, নড়াইল পৌরসভা, নড়াইল প্রেস ক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ মোনাজাত, গণকবর জিয়ারত করা হয়। এসব কর্মসূচিতে নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ^াস, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধ অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান জিন্নাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্তি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটি : জেলা শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ৫০ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বীর শহীদদের কর্মসূচির শুরু হয়। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মোদদাছছের হোসেনসহ জেলা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। পরে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপিসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও রাঙ্গামাটি চিং হ্লা মং মারী ষ্টেডিয়ামে শিশু-কিশোরদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক ও রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক । পরে কুচকাওয়াজে বিজয়ীদের হাত পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এছাড়া রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
চাঁদপুর : সূর্যোদয়ের সঙ্গে-সঙ্গে অঙ্গীকার পাদদেশ সংলগ্ন রেললাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা হয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে শহরের অঙ্গীকার পাদদেশে প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির পক্ষে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শহরে বিশাল একটি শোভাযাত্রা বের করে। এ সময় সকল সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও ভবনসমূহে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসক চাঁদপুর স্টেডিয়ামে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারারক্ষী, রোভার স্কাউটস, স্কাউটস্, গার্লস গাইড ও কমিউনিটি পুলিশসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য শিশু-কিশোর সংগঠনের সালাম গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এরপরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিশু-কিশোর সংগঠনসমূহ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চমৎকার ডিসপ্লে প্রদর্শন করেন।
কুষ্টিয়া : সুর্যোদয়ের সঙ্গে-সঙ্গে কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৩১ বার তোপধ্বনির ও শহীদদের স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন হচ্ছে। সকাল ৬ টায় কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদদের স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এ সময় পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সিরাজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
যশোর : ভোর ৬টা ১ মিনিটে শহরের মনিহার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিজয় স্তম্ভে ফুল দেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সালাউদ্দিন শিকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, মুক্তিযোদ্ধাগণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ৮টায় যশোর শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর করোনার কারণে কুচকাওয়াজে কেবল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, জেলা কেন্দ্রিয় কারাগার ও বিএনসিসির কর্মীরা অংশ নেন। এসময় সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সালাউদ্দিন শিকদার। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা এবং কারাগার, সরকারি শিশু পল্ল¬ী ও হাসপাতালে অবস্থানরতদের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মাগুরা : সূর্যোদয়ের সঙ্গে-সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, প্রত্যুয়ে ৩১ বার তোপধ্বনি, সকাল সাড়ে ৬ টায় শহরের নোমানী ময়দানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সকাল ৮ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কুচকাওয়াজে অংশ নেয় জেলা পুলিশ,আনসার,বিএনসিসি,রোভার স্কাউটস ও গালর্স গাইডের শিক্ষার্থীরা । এ সময় জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম,পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। একই স্থানে সকাল ১০টায় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জেলার শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে।
বগুড়া : জেলায় বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভায় সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী মৌলবাদিকে রুখে দেয়ার শপথ নেয়া হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে-সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনি মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা হয়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন,জেলা আওয়ামী লীগ, পুলিশ প্রশানন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে। জেলায় সকল মসজিদের জুম্মার নামেোজর, পর স্বাধীমতা যুদ্ধে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়। শহীদদের গণ কবরে ফুলের শ্রদ্ধা জানান হয়। সকালে শহীদ চান্দু ষ্টেডিয়ামে শিশুদের কুচকাওয়াজ ও ডিসল্পে প্রদর্শিত হয়। এরআগে সকাল ১০ টায় বগুড়া জিলা স্কুল মাঠে স্বাধীনতার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৫০ ফুট লম্বা ও ৯০ ফুট চওড়া জাতীয় পতাকা স্কুল মাঠে প্রদর্শন করা হয়। এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক। এ সময় স্কুলের সাবেক ও বর্তমান শত-শত শিক্ষার্থীর কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে বগুড়া জিলা স্কুলের সব চেয়ে বেশী ছাত্র শহীদ হয়। তাদের স্মরণে একটি শহীদ কর্নারের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারান সম্পাদক রাগেবল আহসান রিপু। জেলা সাড়ে ১১ টায় বগুড়া জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। এতে প্রধান অতিথি েিছেল বগুড়া জেলা প্রশাসক। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রুহল আমিন,সদর থানা কমান্ডার আব্দুল কাদের। এছাড়া শিশুদের চিত্রাংকন, প্রীতি ফুটবল ও বিভিন্নসংগঠন ও প্রতিষ্ঠন নানা অনুষ্ঠনের আয়োজন করে।
বান্দরবান : যথাযোগ্য মর্যাদায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বান্দরবানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হচ্ছে। সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশৌধে ফুল দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। এরপর সকাল ৮টায় বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামে পুলিশ, আনছার, স্কাউটসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে শরীর চর্চা প্রদর্শন এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। মহান স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে সালাম গ্রহণ করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। এসময় পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো:আব্দুল কুদ্দুছ ফরাজি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুর রহমান, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়েসুর রহমান,নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. জাকির হোসাইন,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ সরকারি ও বেসরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও প্রশাসনের পাশাপাশি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটিকে পালন করছে আওয়ামীলীগ ও এর অংঙ্গ সংগঠনগুলো।
চুয়াডাঙ্গা : সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়। পরে জেলা পরাতন স্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।
গাজীপুর : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার গোলাম মডেল নবী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। কালিয়াকৈর কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে এ উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন কালিয়াকৈর প্রেস ক্লাব বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গোলাম নবী মাঠে পতাকা উত্তোলন পঞ্চাশটি পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জায়েদা নাসরিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবির, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিকদার জহিরুল ইসলাম জয়, আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
নাটোর : স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যবর্গকে সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বেলা ১১টায় স্থানীয় কানাইখালী পুরনো স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত আসনের (নাটোর ও নওগাঁ) মহিলা সংসদ সদস্য রতœা আহমেদ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, নাটোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সোলায়মান বীরপ্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হাবিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান সেন্টু প্রমুখ। প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকল ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্বাধীনতা চত্বরের স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌরসভা, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে’র আয়োজন করা হয়। জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদে মসজিদে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। জেলাখানা ও এতিমখানায় দুপুরে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়। জেলা প্রশাসন বিকেলে শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ও কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। সন্ধ্যায় নাটোর প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং কানাইখালী পুরনো স্টেডিয়ামে শিশু একাডেমী, শিল্পকলা একাডেমীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ: মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা ও পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা জানায়।
পরে শেখ কামাল ক্রিকেট ষ্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা প্রধান অতিধি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুলিশ, আনসার, কারা পুলিশ, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সালাম গ্রহন করেন।
এছাড়া, উদীচী জেলা সংসদের পক্ষ থেকে পৌর পার্কের শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি লাল-সবুজের পতাকা র্যালী বের করে।র্যালীটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে, জেলার মুকসুদপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। মুকসুদপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়ের রহমান রাশেদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাবির মিয়া।
লক্ষ্মীপুর : মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা স্টেডিয়াম মাঠে এ আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
এরআগে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সফিউজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহজাহান, পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী। এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
পাবনা: জেলায় আজ নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উৎযাপিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পাবনা জেলা পরিষদ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পাবনা পৌরসভা, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা সরকারি মহিলা কলেজ, হাজী জসীমউদ্দিন কলেজ, শহীদ এম মনসুর আলী কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসুচীর মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে।
শুক্রবার দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘দুর্জয় পাবনা’য় পুষ্পস্তবক অর্পণ, পতাকা উত্তোলন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাষন প্রচার, ক্রিকেট খেলা, শ্যুটিং, পুরস্কার বিতরণ, আতশবাজি, আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিল সহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়।
পাবনা জেলা আওয়ামীলীগ শুক্রবার সকালে দুর্জয় পাবনায় পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, আতশবাজি, আলোচনাসভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল-এর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি। এসময় দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাবনা জেলা প্রশাসন দিবসটি উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোকসজ্জা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, ক্রিকেট খেলা, আলোচনাসভার আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ প্রমুখ।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক এম রোস্তম আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার খসরু পারভেজ সহ শিক্ষক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দিনাজপুর: জেলায় আজ উৎসবমুখর পরিবেশে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হয়েছে। আজ শুক্রবার জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও শহীদ স্মৃতি সৌধে জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, জেলা পরিষদ, আইনজীবী সমিতি, প্রেসক্লাব, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, পুলিশ প্রশাসন, চেম্বার অব কমার্স, বিএমএসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এছাড়াও স্থানীয় বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। জেলা আওয়ামীলীগ শহরের বিভিন্ন মসজিদে বাদ জুম্মা বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করে।
এদিকে, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারের নেতৃত্বে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
নীলফামারী : জেলায় আজ উৎসবমুখর পরিবেশে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা ঘটে। এরপর স্বাধীনতা অম্লান স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সেখানে।
সকাল আটটার দিকে নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। সকাল নয়টার দিকে একই স্থানে মহান স্বাধীনতা দিবসের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজসহ শারিরীক কসরতে অংশ নেন পুলিশ, আনছার, স্কাউট ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার সকালে স্বাধীনতা অম্লান স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অপর্ণ শেষে বেলা ১০টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় মহিদ মিনারে আলোচনাসভায় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম রিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও দিবসটি পালন উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শণী, বিভিন্ন ক্রীড়ানুষ্ঠান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সসদ্যদের সম্মাননা, জাতীর শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও হাসপাতাল, জেলখানা ও শিশু পরিবারের উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়।
সাতক্ষীরা: যথাযোগ্য মর্যাদায় ও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জেলায় আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার রাত ১২ টা ১ মিনিটে শহরের খুলনা রোড মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সুচনা করা হয়।এরপর সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সাতক্ষীরা ষ্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
পরে পুলিশ, বিএনসিসি ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সমম্বয়ে দৃষ্টিনন্দন মার্চপাস্ট, শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি উপস্থিত ছিলেন।
এরপর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত, ফুটবল প্রতিযোগিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপর প্রামাণ্য চলচিত্র প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও, ফেনী, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ জেলায় বিভিন্ন কার্মসূচির মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে।