×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৩-২৩
  • ৬২২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় হেলিকপ্টার অবতরণের স্থানে বোমা পুঁতে রাখার অভিযোগে করা মামলার রায়ে আজ ১৪ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ফায়ারিং স্কোয়াডে প্রকাশ্যে তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আসামিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে কর্তৃপক্ষের কোন অসুবিধা থাকলে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়।
মৃত্যুদ-াদেশ প্রাপ্তরা হল- মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, মো. মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন মিয়া, মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
রায়ের পর্যাবেক্ষণে বিচারক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করে গণতান্ত্রিক ও বৈধ সরকার উৎখাত করার উদ্দেশ্যে কোটালিপাড়ার সভা মঞ্চে বোমা পুঁতে রাখা হয়।
স্বাধীনতা বিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের পর থেকে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এমনকি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশকে ধ্বংস করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর থেকে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
হুজি, জেএমবি ও ইসলামি জঙ্গিরা যেন এই ধরনের ঘটনা পুরনাবৃত্তি করতে না পারে সেই জন্য তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে বলেও রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। বোমা উদ্ধার হওয়ার পরদিন ওই স্থানেই শেখ হাসিনার বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় কোটালিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক নূর হোসেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করেন।
২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর তৎকালীন সিআইডির এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ মুফতি হান্নানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে আদালত ৫০ জনের মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান এই মামলায় মূল আসামি ছিলেন। অন্য মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় রায়ে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
মামলার ১৪ আসামির মধ্যে মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক হোসেন, আবদুল ওয়াদুদ মোল্লা, সারোয়ার হোসেন মোল্লা, আনিসুল ইসলাম,মাওলানা আমিরুল ইসলাম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম কারাগারে রয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামি আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ শেখ মো. এনামুল হক ও মোছাহেব হাসান পলাতক রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat