নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেএমআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
দুদকের আনা আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রুল জারি করে আদেশ দেন।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বাসস’কে আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী এটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। আবদুর রাজ্জাকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এম কে রহমান ও আবদুর রাজ্জাক।
আমিন উদ্দিন মানিক বাসস’কে জানান, নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে জেএমআই-এর চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের জামিন কেন বাতিল করা হবে না- সেই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর এ রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে ১৫ অক্টোবর ঢাকা মেট্রো সিনিয়র স্পেশাল জজ তাকে জামিন দিয়েছিলেন। এই জামিন আদেশে বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করলে হাইকোর্টে এই আদেশ দেন।
গত ৮ অক্টোবর পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো। নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ৬ কর্মকর্তা ও জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. নূরুল হুদা বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় ঔষাধাগারের উপ-পরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিক্যাল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ, সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির।
মামলার পরপরই রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে।