×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০২০-০২-০৩
  • ৫৯০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকার করোনাভাইরাস প্রবেশ ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে

সরকার যে কোন মূল্যে দেশে করোনা ভাইরাস প্রবেশ বন্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকের পর করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিশদ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, যে কোনও মূল্যে দেশে করোনাভাইরাস প্রবেশ ঠেকাতে সম্ভাব্য সকল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আনোয়ারুল বলেন, করোনাভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক এবং অন্যান্য রোগের তুলনায় এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভাইরাসজনিত মৃত্যুর হার ইবোলা ও অন্যান্য রোগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে যারা দেশে আসছেন তাদের প্রত্যেককেই বিমানবন্দরসহ সমস্ত প্রবেশপথে ডব্লুএইচওর স্ট্যান্ডার্ড ডাবল চেকআপের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যারা চীন থেকে বিশেষত করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবস্থল উহান থেকে আগত লোকদের ১৪ দিনের জন্য পৃথক অবস্থায় রাখা হবে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে চীন থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং অন্য ১৭১ জন দেশে ফিরতে চেয়েছেন। এই ১৭১ জনকে দেশে ফিরিয়ে অনার বিষয়ে চীন সরকারের সাথে আলোচনা চলছে। তিনি আরও বলেন, ৩১২ ফিরিয়ে আনার জন্য যে সব বাংলাদেশী পাইলট চীনে গিয়েছিলেন, বিভিন্ন দেশ তাদের দেশে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ায়, তারা একটি চার্টার্ড বিমানের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনতে চান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, চীন সরকার বাংলাদেশকে আশ্বাস দিয়েছে যে তারা আক্রান্ত বাংলাদেশীদের প্রেরণ করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের চীন থেকে ৩১৬ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। তবে চীন সরকার চারজনকে উচ্চ জ্বরজনিত কারণে দেশ ছাড়ার অনুমতি দেয়নি। ফিরে আসা ৩১২ জনের মধ্যে আটজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং বাকিদের ১৪ দিনের জন্য পৃথক অবস্থায় রাখা হয়েছে।’ তবে এ আটজনের করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
সরকারের এ শীর্ষ আমলা বলেন যে চীনা জনগণ, যারা বড় বড় বাংলাদেশী প্রকল্পে কাজ করছেন এবং সম্প্রতি ফিরে এসেছেন তাদেরকে পৃথকীকরণে নেওয়া হয়েছে এবং চীনের উহান থেকে এ ধরনের কাউকে বাংলাদেশে না আসতে বলা হয়েছে।
চীন থেকে আসা এবং চীনে যাওয়ার জন্য বিমানের ফ্লাইট অপারেশন সম্পর্কে তিনি বলেন যে ফ্লাইট অপারেটররা প্রতিদিন মাত্র ১০-১২ যাত্রী পাওয়ায় তাদের বিমান চালনা বন্ধ হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat