×
ব্রেকিং নিউজ :
সাফ শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে ‘জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটি ও গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় ছাত্রদল ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী : নাসির উদ্দিন নাসির রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ শহিদ সাংবাদিকদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট : নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংস্কার হতে হবে টেকসই, যেন আপত্তিকর চর্চার পুনরাবৃত্তি না হয় : ফলকার
  • প্রকাশিত : ২০১৭-০৪-০৩
  • ৪৮৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
এই বুঝি ট্রাম্পকে ক্ষমতা ছাড়তে হচ্ছে
 আন্তর্জাতিক ডেস্ক: –মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার এক বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের এখন প্রধান আলোচনার বিষয়। তিনি বলেছেন, তাকে দায় মুক্তি দিলে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা কমিটির যোগসাজশের তথ্য দিবেন। তিনি এমন তথ্য জানেন যা অনেকের কাছেই অজানা।
অর্থাত্ হাটে হাড়ি ভাঙবেন। এ থেকে অনেকের মনের মধ্যে ধারণা জন্মেছে যে, এই বুঝি ট্রাম্পকে ক্ষমতা ছাড়তে হচ্ছে।  ফ্লিন হয়তো এমন তথ্য প্রকাশ করবেন যা ট্রাম্পকে গদি থেকে নামিয়ে দেবে।  ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করার এই ধারণা নিছকই ভুল বলা যায়।যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং নিউ আমেরিকার ফেলো জুলিয়ান জোলিজারের মতে, ফ্লিন হয়তো নিজে বাঁচার জন্য যে তথ্য প্রকাশ করার প্রয়োজন তাই করবেন।  তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জড়িয়ে কিছু বলবেন সেটা এতো সহজে ভাবার কারণ নেই।  কারণ,  প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।  যদিও তাকে পদত্যাগ করানোটা তিনি ভালোভাবে নেননি।  আবার ট্রাম্পও ফ্লিনের দায় মুক্তির আগ্রহকে সমর্থন জানিয়েছেন। গত প্রায় আড়াই মাসে হিসাব-নিকাশে কিছু ভুল করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই যেমন, শরণার্থীদের বিশেষ করে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং জনপ্রিয় স্বাস্থ্য কর্মসূচি ওবামা কেয়ার বাতিলের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনি সফল হননি।ট্রাম্পের ঘন ঘন টুইট করা এবং যা ইচ্ছা তাই বিবৃতি দেওয়া তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অজনপ্রিয় করে তুলেছে। আদালত এবং কংগ্রেস তার সমালোচনা করার সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দলের তৃনমূলে তাকে অপছন্দের পাত্র করেছে। এর ফলে উভয় দলের কংগ্রেসম্যান ও সিনেটররা তার প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিয়েছেন।এতো দিন ট্রাম্প যা করেছেন তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হুমকি রাশিয়া ইস্যু। ফ্লিনের দায় মুক্তি চাওয়াটা হয়ত তার জন্য বড় সমস্যার কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। কিন্তু আমেরিকার ইতিহাস যদি স্মরণ করা যায় তাহলে আগে নিজেদের মনকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, তিনি কি তার প্রশাসনে জন ডিন হতে যাচ্ছেন? জন ডিন ওয়াটারগেইট কেলেঙ্কারির সঙ্গে জোরালোভাবে যুক্ত ছিলেন। তবে সবার এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, অন্য প্রেসিডেন্টদের সঙ্গেও ট্রাম্পের তুলনা করা প্রয়োজন। তারা দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারাও বিতর্কের বাইরে ছিলেন না। প্রথম মেয়াদের প্রথম দিকে তাদের জনপ্রিয়তাও ভীষণভাবে হ্রাস পেয়েছিল।রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান আমেরিকার রাজনীতিকে কট্টরপন্থার দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। মেয়াদের প্রথম কয়েক মাসে তাকে কঠোর সংগ্রাম করতে হয়েছিল। তিনি বাজেটে ব্যাপক কাট-ছাঁট করে বড় ধরনের প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছিলেন। তার প্রনীত বাজেট রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেট কমিটিতেই স্থগিত হয়েছিল। তিনি সহজে তার প্রথম বিলে স্বাক্ষর করতে পারেননি। গুপ্ত ঘাতকরা তাকে গুলি করে এবং আহত অবস্থা থেকে সেরে ওঠার পর তিনি বিলে স্বাক্ষর করতে সক্ষম হন।হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন প্রথম দিকে কঠিন সময় পার করেছিলেন। বিতর্কিত মন্ত্রীদের নিয়োগ দিয়ে তিনি কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হন। বিশেষ করে তার পছন্দের দুইজন অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ পাননি। তৃতীয় জন মার্চ নাগাদ নিয়োগ পেয়েছিলেন। আইন প্রণয়নে তার গতি ছিল অত্যন্ত ধীর। সামরিক বাহিনীতে সমকামী নারী-পুরুষের নিয়োগ নিয়েও তিনি সমালোচনার শিকার হন। তাকে অনেকে পাগল বলতে দ্বিধা করেননি। কম সংখ্যক লোক তার নীতিতে সমর্থন জানিয়েছিলেন। তিনি নির্বাচনের আগে অঙ্গীকার করেছিলেন, নির্বাচিত হলে মধ্যবিত্তদের আয়কর কমিয়ে দিবেন। কিন্তু বাধার মুখে পারেননি। ১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার জনপ্রিয়তা ছিল শতকরা ৬৪ ভাগ। মে মাসে এসে দাঁড়ায় ৩৭ ভাগে। ১ মাস পর টাইম ম্যাগাজিন একটি নিবন্ধ প্রকাশ করছিল যার শিরোনাম ছিল ‘পতনমুখী প্রেসিডেন্ট’।বিল ক্লিনটন এবং রিগ্যান পরবর্তীতে সফল প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন।  বিল ক্লিনটন তার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করেছিলেন ১৯৯৩ সালে বাজেট কর্পোরেশন এবং ধনীদের আয়কর বৃদ্ধি করে। তিনি বাজেট ঘাটতি কমাতে সক্ষম হয়েছিলেন। ট্রাম্পের মতো ক্লিনটনের প্রথম কর্মসূচি স্বাস্থ্য বিল ব্যর্থ হয়েছিল। এর ফলে রিপাবলিকানরা কংগ্রেসের উভয় পক্ষে ৪০ বছরের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে তাকে অভিশংসন করার চেষ্টা হয়। কিন্তু তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হন। তিনি এরপর বাজেট ঘাটতি কমানো, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে ও স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে সফল হয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হন।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি পারবেন বর্তমান  অবস্থা উতরিয়ে উঠতে? তিনি হোভার এবং জিমি কার্টারের মতো এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন যা তার ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে পারে। অন্তত প্রথম মেয়াদ তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। রাশিয়া গেইট নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো হাউস ফ্রিডম ককাস এবং ডেমোক্র্যাটদের একটা ছোট অংশের বিরোধিতার সম্মুখীন হবেন। কিন্তু ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে এই কেলেঙ্কারিতে দোষী নাও হতে পারেন।ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পকে সরানোর চিন্তা নাও করতে পারেন। কারণ তার জায়গায় আসবেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। এই মাইক পেন্স খুবই রক্ষণশীল, ট্রাম্পের চেয়েও। ফলে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পকে দিয়ে যা করতে পারবেন মাইক পেন্সকে দিয়ে সেটা সম্ভব হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat