জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
কোর্ট রিপোর্টার :-
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার জন্য ১৩ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়েছেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য ছিল।এদিন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে না পারায় সময়ের আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জিয়া উদ্দিন জিয়া।
সময়ের আবেদনে উল্লেখ্য করা হয়, আপিল বিভাগ পুনরায় সাক্ষী নেয়ার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আমরা রিভিউ করবো। তাই আমাদের সময় দেয়া হোক।আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে বলেন, ১৩ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত না হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সাফাই সাক্ষী দেবেন বলে আদালতকে বলেন। এরপর তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে আংশিক বক্তব্য দিয়ে সময়ের আবেদন করেছিলেন।মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।