পানগুছি নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও এক নারীর লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় পানগুছি নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ১৭ জন। নিহত রিমা বেগম (২২) মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুঁটিখালী গ্রামের নওয়াব আলীর স্ত্রী।
বুধবার সকালে ঘটনাস্থলের তিন কিলোমিটার উত্তরে শ্রেণিখালি এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান জেলা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক সরদার মাসুদুর রহমান।ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মাসুদুর বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল গিয়ে ভাসমান অবস্থায় মুন্নীর লাশ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেন।এদিকে প্রমত্তা পানগুছি নদীতে খেয়া পারাপারের ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে, মোড়েলগঞ্জের কাছিঘাটা গ্রামের হেলেনা বেগমের ৬ বছরের শিশু নাজমুল, ছোট জামুয়া গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৩৮), উত্তর ফুলহাতা গ্রামের হাসিব (৮), ছোটপড়ি গ্রামের নাসিমা আকতার (১৮), রায়েন্দা বাজারের আবির (১৭), বদনিভাঙ্গা গ্রামের বশির (২২), কাছিকাটা গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখ, বরুজবাড়িয়া গ্রামের সুলতান আহমেদ (৬০), ভাইজোড়া গ্রামের খাদিজা (৪০), রাহাত (১০), আনছার হাওলাদার ( ৩৮), মোশার্রফ হাওলাদার (৫০), সালমা বেগম (৩০) মুন্নী আক্তার (৩০) শিশু সাজ্জাত (২) ও লাবনী আক্তার (৭)সহ ১৭ জন।উপজেলার থানাঘাটের কাছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রলার ডুবির পর এ নিয়ে মোট পাঁচ নারীর লাশ উদ্ধার করা হলো।পুলিশ এখনও ট্রলার ডুবির কারণ বলতে পারেনি। স্থানীয়রা বলছে, একটি দ্রুতগতির নৌযানের ঢেউয়ে ৫০-৬০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।ঘটনার পর থেকে পুলিশ, দমকল বাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নদীতীরে ভিড় করছেন নিখোঁজদের স্বজনরা।মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান জানান, নিখোঁজদের তালিকা তৈরির পর উদ্ধার অভিযান জোরদার করা হয়েছে। যতক্ষণ না তাদের পাওয়া যাচ্ছে অভিযান অব্যাহত থাকবে।