বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা করে বর্তমান সরকার গভীর চক্রান্ত করছে:শামসুজ্জামান দুদু
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে ভোটারবিহীন সরকার যদি মনে করে ক্ষমতায় দীর্ঘস্থায়ী থাকতে পারবে; তাহলে বলব তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুসহ অজস্র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা করে বর্তমান সরকার যে গভীর চক্রান্ত করছে তা কোনোদিনও সফল হবে না।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, সাবেক কাউন্সিলরআনোয়ারুজ্জামান আনোয়ারের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত নাগরিক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।দুদু বলেন, ২০১৭ কিংবা ১৮-১৯ যে সালই হোক না কেন এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। তিনি বলেন, তেজগাঁওয়ের জনপ্রিয় নেতা আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ারকে বারবার গ্রেফতার করে তার ওপর যে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে; তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে তিনি তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিজয় অনিবার্য। সংগ্রাম আন্দোলনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। তবে, সে নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হবে না।সংগঠনের সমন্বয়কারী হাফিজুর রহমান কবিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাবেক ছাত্রনেতা ড. মনিরুজ্জামান মনির, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কাদের সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর আলম, কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, এমএ কাইয়ুমসহ তেজগাঁও-শেরে বাংলানগর ও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তেজগাঁও থানা বিএনপির জনপ্রিয় নেতা, বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ারকে গত ১০ বছরে ১৫ বারের বেশি গ্রেফতার করেছে এবং তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। রিমান্ডের নামে তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশে শারিরীকভাবে আঘাত করাও হয়েছে। সর্বশেষ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে ফেরার সময় খামার বাড়ি নামক স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে মুক্তি দেয়া না হলে সাংবাদিক সম্মেলনসহ আরো বৃহত্তর কর্মসূচি নেয়া হবে।