×
ব্রেকিং নিউজ :
সাফ শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে ‘জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটি ও গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় ছাত্রদল ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী : নাসির উদ্দিন নাসির রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ শহিদ সাংবাদিকদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট : নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংস্কার হতে হবে টেকসই, যেন আপত্তিকর চর্চার পুনরাবৃত্তি না হয় : ফলকার
  • প্রকাশিত : ২০১৭-০৩-২৮
  • ৫০৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
গুলাগুলি বা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা না গেলেও ‘আতিয়া মহলে’ টানা পঞ্চম দিনের মতো অভিযান অব্যাহত
বিশেষ প্রতিবেদক :মোঃ নুর উদ্দিন :-গুলাগুলি বা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা না গেলেও ‘আতিয়া মহলে’ টানা পঞ্চম দিনের মতো অভিযান অব্যাহত রেখেছেন সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডোরা।সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় এখনও সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে। আর তাই অভিযান সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির ভেতরে থাকা বিস্ফোরক উদ্ধারের কাজ চলছে। সোমবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে সেনাবাহিনী জানায়, তাদের অভিযানে এক নারীসহ চার জঙ্গি নিহত হয়েছে। জঙ্গি আস্তানায় আর কোনও জীবিত জঙ্গি নেই। গত কয়েকদিনের মত মঙ্গলবার সকালবেলায় সিলেটবাসীকে মুহুর্মুহু বোমা আর গুলির শব্দে দিন শুরু করতে হয়নি।যদিও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ অব্যহত আছে। আতিয়া মহলের পুরো ভবনটা যে অবস্থায় আছে সেটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সোমবার প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান বলেন, ‘সেজন্য সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হচ্ছে। যে চারজন এখানে ছিল, তারা বেশ ভালো প্রশিক্ষিত। তাদের খুঁজে বের করে মারা হয়েছে। এটা কিন্তু বিশেষ করে সেনাবাহিনীর জন্য একটা বড় সফলতা বলে মনে করি। আমাদের অভিযান এখনও চলমান আছে। আরও হয়তো কিছু সময় লাগতে পারে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাব।’ এর আগে সোর্সের তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গত বৃহস্পতিবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে আতিয়া মহলকে জঙ্গি আস্তানা হিসেবে শনাক্ত করে পুলিশ। এর পর শুক্রবার ভোর থেকে সেখানে থাকা জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়।জবাবে ভেতর থেকে পুরুষ কণ্ঠে একজন বলেন, ‘দেরি করছ কেন, সময় নেই, তাড়াতাড়ি সোয়াট পাঠাও।’ কেন জঙ্গিরা দ্রুত সোয়াটকে জঙ্গি আস্তানায় যাওয়ার আহ্বান জানাল- এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আতিয়া মহলের নিচতলায় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটের জন্য বোমা-বারুদের ফাঁদ পেতেছিল জঙ্গিরা। নিচতলাজুড়ে তারা উচ্চশক্তির বিস্ফোরক লাগিয়ে রেখেছিল। নানা জায়গায় ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) পেতে রাখা হয়েছিল। সোয়াট এলেই তাদের নিয়ে নিচতলাসহ উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের।তাই অভিযান-সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বেঁচে গেছেন সোয়াট সদস্যরা। জঙ্গিদের আহ্বানের পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পর ডাক পড়ে সেনা কমান্ডোদের। শনিবার থেকে শুরু হয় তাদের অভিযান। জঙ্গিবিরোধী এ অভিযানের মধ্যেই জঙ্গিরা টাইমবোমা হামলা চালায়। এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হন। আহত হন আরও অর্ধশতাধিক।জঙ্গিদের কর্মকাণ্ডের খোঁজ রাখেন এমন একাধিক কর্মকর্তা এক জাতীয় দৈনিককে জানান, সম্প্রতি নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতারা তাদের সহযোগীদের নির্দেশ দেয়, নিরাপত্তার জন্য সব আস্তানায় ভারী বোমা ও বিস্ফোরকের মজুদ গড়ে তুলতে হবে। সন্ধান পেয়ে পুলিশ কোনো আস্তানায় অভিযানে গেলে হামলা করে তাদের ভাষায় ‘কবর’ বানিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই জঙ্গিরা এখন তাদের অনেক আস্তানায় ভারী বিস্ফোরক ও বোমা রাখছে। সম্প্রতি সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানায় তা দেখা গেছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেনা কমান্ডোদের প্রথম লক্ষ্য ছিল ভবনে আটকেপড়াদের কৌশলে উদ্ধার করা। কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই শনিবার ৭৮ জনকে তারা উদ্ধার করেন। এরপর তারা ভার্টিক্যাল পদ্ধতিসহ নানাভাবে অপারেশন চালান। অভিযানের মুখে জঙ্গিদের পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার ধরন সম্পর্কে অনেকে খোলাখুলি বলেছেন, ভেতরে থাকা জঙ্গিরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তারা সুইসাইড ভেস্ট ব্যবহার করে। গতকাল সোমবার সকালেও ভেতর থেকে অন্তত দুই রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এর আগে জঙ্গিরা নিচতলায় ফ্ল্যাটে প্রবেশ কক্ষের সামনে একটি ফ্ল্যাটে বসিয়ে রাখে।এদিকে, সেনা কমান্ডো অভিযানে নিহত জঙ্গিদের পরিচয় এখনও মেলেনি। তাদের বয়স সম্পর্কেও কোনো ধারণা পাননি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।তবে আতিয়া মহলে যারা ছিল, তারা সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলেই সংশ্লিষ্টদের ধারণা। তারা বলছেন, এ আস্তানায় নব্য জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের মুসা ও মিরপুর থেকে পালানো ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্র রাফিদ হাসানও থাকতে পারে।এ ছাড়া মনজেয়ারা পারভীন ওরফে মর্জিনা নামের এক নারী জঙ্গির কথাও শোনা যাচ্ছে। মর্জিনা সীতাকুণ্ডে অভিযান অ্যাসল্ট-১৬-তে নিহত জোবায়দা ইয়াসমিনের বোন। তাদের গ্রামের বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়িতে। তবে মর্জিনার ভাই তারেক গতকাল জানান, মর্জিনা সিলেটের কোনো জঙ্গি আস্তানায় মারা গেছে এমন কোনো তথ্য তাদের জানা নেই।সংশ্লিষ্টরা আরও বলেন, সিলেটে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পর অভিযানের সময় জঙ্গিদের প্রথম পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় তাদেরই কোনো ভিন্ন গ্রুপ প্রাণঘাতী টাইমবোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat