তৃতীয় দিনেও শেষ হয়নি অভিযান এখনো থেমে থেমে গুলি ও শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে
বিশেষ প্রতিবেদক :মোঃ নুর উদ্দিন:- তৃতীয় দিনেও শেষ হয়নি অভিযান। এখনো থেমে থেমে গুলি ও শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যায় জঙ্গি আস্তানার পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুটি হামলার পর থেকে কিছুটা শান্ত ছিল পরিবেশ। রবিবার সকাল থেকে আবারো বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাতটার দিকে প্রচণ্ড গোলাগুলি শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে দুটি এবং বেলা পৌনে ১২টার দিকে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে।জানা গেছে, আতিয়া মহলে প্রবেশের প্রতিটি গেটে শক্তিশালী বিস্ফোরক লাগিয়ে রেখেছে জঙ্গিরা। ভবনের নিচতলায় অবস্থান করছে জঙ্গিরা। ভবনের নিচে বাঙ্কারে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও গোলাবারুদ নিয়ে তারা অবস্থান করছে। এতে করে ভবনের ভিতরে ঢুকতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। জঙ্গিরা এখন পর্যন্ত ১০টি গ্রেনেড ও ৫ থেকে ৬টি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এছাড়া সিলেটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান প্রতিহত করতে জঙ্গিরা ভয়াবহ কৌশল নিয়েছে। একদল জঙ্গি আস্তানায়, আরেকদল বাইরে অবস্থান নিয়েছে। ইতোমধ্যে উত্সুক জনতার মধ্যে ঢুকে দুই দফা হামলা চালিয়েছে। এতে ৩ জন নিহত ও দুই র্যাব সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।পুরো ভবন সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ঘিরে রেখেছে। অন্যদিকে ভবনের চারপাশ এলাকায় আরেক স্তরে সেনাবাহিনী ঘিরে রেখেছে। আতিয়া মহল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে এলাকাটি ঘিরে রেখেছে র্যাব-পুলিশ। এর মধ্যদিয়ে অনেক দূরে অবস্থান নেওয়া উত্সুক জনতার মাঝে রাত সাড়ে ৮টা দিকে আরেক দফা আত্মঘাতী হামলা হয়েছে। জঙ্গিদের পরিকল্পনা ছিল সোয়াতসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আক্রমণ করলে তারা বাইরে থেকে আক্রমণ করত। এই এলাকার আশপাশে আরো জঙ্গিদের অবস্থান রয়েছে বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত হয়েছে।এদিকে সিলেট মহানগরের শিববাড়ির ‘আতিয়া মহল’-এর জঙ্গি আস্তানায় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডোর চালানো অভিযান ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ অব্যাহত রয়েছে। কখন এ অভিযান শেষ হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে এর আগেই ভবন থেকে সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল ৭৮ জন বেসামরিক লোককে উদ্ধার করে। ভবনের সঙ্গে মই বেঁধে তাদেরকে বের করে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও ২১ শিশু রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, জঙ্গিরা ওই ভবনে বসবাসরত বাসিন্দাদের জিম্মি করে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ নিতে চেয়েছিল। কিন্তু কমান্ডোদের ত্বরিত হস্তক্ষেপের কারণে তারা সেই সুযোগ পায়নি।