খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড (খুশিলি) ক্রমান্বয়ে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে: নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ
নিজস্ব প্রতিনিধি:-
নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ বলেছেন,খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড (খুশিলি) ক্রমান্বয়ে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। খুলনা শিপইয়ার্ডের তৈরি লার্জ প্যাট্রোল ক্রাফট একটি অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজ। দেশের সমুদ্র এলাকায় নিরাপত্তা, সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য এ ধরনের যুদ্ধ জাহাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বুধবার দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য লার্জ প্যাট্রোল ক্রাফট (বানৌজা) এবং সাবমেরিন হ্যান্ডলিং টাগ বোটের (বানৌটা পশুর) লঞ্চিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।নৌবাহিনী প্রধান বলেন, জাহাজ শিল্পের বিকাশে সরকার পায়রা বন্দরের নিকটবর্তী আরো একটি আধুনিক শিপইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। খুলনা শিপইয়ার্ডের সুনাম ও কাজের গতিশীলতা ধরে রাখতে তিনি শিপইয়ার্ডে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ও সহকারী নৌপ্রধান (এম) রিয়ার এডমিরাল এম শফিউল আজম উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর কাজী কামরুল হাসান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামনসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এবং খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, বানৌজা যুদ্ধ জাহাজের দৈর্ঘ্য ৬৪.২০ মিটার ও প্রস্থ ৯.০০ মিটার। এর আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত কিছুটা ছোট হলেও জাহাজটির সক্ষমতা অধুনা বিশ্বে ব্যবহৃত স্টেট অব দ্যা আর্ট টেকনোলজি সম্বলিত যুদ্ধ জাহাজের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। এ যুদ্ধ জাহাজে রয়েছে আধুনিক সামরিক সক্ষমতা। যেমন- সারফেস টার্গেটের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ৭৬ মি.মি এবং ৩০ মি.মি গান, সাবমেরিনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য টর্পেডো এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ সব অস্ত্র ব্যবহারের জন্য অত্যাধুনিক সোনার সার্ভিলেন্স রাডার ও কমব্যাট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।