পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং-এর বিখ্যাত কিছু উক্তি
সিনিয়র সহঃসম্পাদক আলহাজ্ব হুসাইন আলী রাজন: –বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম বিজ্ঞানী হিসেবে স্টিফেন হকিংকে মানা হয়ে থাকে।তিনি একজন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত তাত্ত্বিক পদার্থবিদ,কসমোলজিস্ট, লেখক।কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল কসমোলজিতে তিনি গবেষণা বিভাগের পরিচালক হিসেবে আছেন।তার বিখ্যাত বই “কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস” বা A brief history of time বহুল পঠিত ও আলোচ্য একটি বই।মূলত, বিগ ব্যাঙ থেকে কেমন করে আজকের পৃথিবী এলো,তা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই বইটিতে। অ্যামিওট্রপিক লেটারাল লেরোসিস নামক এক ব্যাধির কারণে তিনি কয়েক দশক চলাফেরা করতে পারেন না।স্পিচ জেনারেটিং ডিভাইসের মাধ্যমে তিনি অপরের সাথে যোগাযোগ করে থাকেন। আজ এই নন্দিত বিজ্ঞানীর কিছু বিখ্যাত উক্তি নিয়ে আমাদের এই আয়োজন।
এক ঝলকে স্টিফেন হকিংঃ
পুরো নামঃ স্টিফেন উইলিয়াম হকিং
জন্মঃ ৮ জানুয়ারী, ১৯৪২
জাতীয়তাঃ ব্রিটিশ
যেসব ক্ষেত্রে কাজ করেছেনঃ জেনারেল রিলেটিভিটি, কোয়ান্টাম গ্রাভিটি
তার বিখ্যাত কিছু বইঃ আ ব্রিফ হিস্টোরি অফ টাইম, দ্য ইউনিভার্স ইন আ নাটশেল, অন দ্য শোল্ডার্স অব জায়ান্টস ও ইত্যাদি।
উক্তিঃ
১) বুদ্ধিমত্তা তাকেই বলে যখন আপনি পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন।
২) আকাশের নক্ষত্ররাজির দিকে তাকাও, কখনো তোমার পায়ের দিকে নয়। তুমি যা দেখছ তা উপলব্ধি করার চেষ্টা কর এবং বিস্ময়াভূত হও যে সমগ্র বিশ্ব কেমন করে টিকে আছে। কৌতুহলী হতে শেখো।
৩) জীবন যেমনই কঠিন হোক না কেন, অবশ্যই এমন কিছু আছে যা তুমি করতে পারবে এবং সে কাজে তুমি সফল হবে।
৪) বিজ্ঞান শুধুমাত্র অনুসন্ধানের বা কার্যকারণের শিষ্যই নয়; বরং তা এক ধরণের ভালোবাসা ও অনুরাগও বটে।
৫) যদি আপনি সবসময় রাগান্বিত থাকেন এবং অভিযোগ করতে থাকেন, কেউ আপনার জন্য নিজের মূল্যবান সময়টুকু দিতে চাইবে না।
৬) জীবনটা খুবই ছন্দহীন হয়ে যেত যদি জীবনে কোন হাসি ঠাট্টা না থাকত।
৭) একটি বৃহৎ মস্তিষ্কের নিউরণগুলো যেভাবে একে অন্যের সাথে যুক্ত থাকে, আমরাও বর্তমানে ইন্টারনেটের সাথে এভাবেই যুক্ত আছি।
৮) আমার মত অন্যান্য চলৎশক্তিহীন ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে আমার উপদেশ হবে এই যে, আপনারা কখনো নিজেদের নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগবেন না বা আপনার অবস্থা কেন এমন হল তা নিয়ে কারণ খুঁজতে যাবেন না। এর কোন কারণ নেই। এর চাইতে নিজের মাঝে যতটুকু শক্তি রয়েছে, তা দিয়ে অন্যের উপকার করুন।
৯) কয়েকদিনের পূর্বাভাস না দেখে কেউ হঠাৎ করে একদিনের আবহাওয়া পূর্ভাবাস বলে দিতে পারবে না।
১০) অভিকর্ষ থাকবার কারণেই এই বিশ্ব শূন্য থেকে তৈরি হয়ে যেতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ ব্রেইনিকোটস ডট কম