×
ব্রেকিং নিউজ :
সাফ শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে ‘জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটি ও গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় ছাত্রদল ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী : নাসির উদ্দিন নাসির রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ শহিদ সাংবাদিকদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট : নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংস্কার হতে হবে টেকসই, যেন আপত্তিকর চর্চার পুনরাবৃত্তি না হয় : ফলকার
  • প্রকাশিত : ২০১৭-০৩-০৩
  • ৬৯৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
৪৫ শয্যাবিশিষ্ট বুড়িমার হাসপাতাল গরীবের ফ্রি চিকিৎসা
সিনিয়র সহঃসম্পাদক  আলহাজ্ব হুসাইন আলী রাজন : -  ১৯ কাঠা জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ৪৫ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। ২০ জন চিকিৎসক, এর মধ্যে ৪ জন বেতন নেন, বাকিরা বিনা পয়সায় কাজ করেন। রয়েছে ৩২ জন নার্স। এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসায় গরিব রোগীদের এক টাকাও লাগে না। বিনা পয়সায় দেয়া হয় ওষুধ। ১০ শয্যার আইসিসিইউ, ভেন্টিলেশন। আউটডোর ছাড়াও মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, আই, ইএনটি, ইউরোলজি, পেডিয়াট্রিক, ইউরোলজি-সহ একাধিক বিভাগ চলে এখানে। অস্ত্রোপচার হয়, রয়েছে সব রকম পরীক্ষা ব্যবস্থা।নাম ‘হিউম্যানিটি হসপিটাল (humanityhospital.org)’।  তবে লোকমুখে পরিচিতি ‘বুড়িমার হাসপাতাল’ নামেই। কলকাতার নামি-দামি হাসপাতালগুলোর দিকে সেবা কাকে বলে প্রশ্নটা ছুড়ে দিলেন ৭৩ বছরের বৃদ্ধা। তার প্রশ্ন, ‘আমি পারলে আপনারা পারবেন না কেন?’কী ভাবে কম খরচে মানুষের কাছে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়া যায় তা পরীক্ষা করে দেখতে কলকাতা আধুনিক-কর্পোরেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বৃদ্ধা। তার দাবি, ‘ইচ্ছে থাকলে উপায় যে হয় তা আমি ওদের দেখাতে চাই। মানুষের পাশে দাঁড়ালে আশীর্বাদ পাবেন।বিশ বছর আগে সুবাসিনীকে মিস্ত্রিকে এলাকার মানুষ চিনতেন ‘সবজি মাসি’ বলে। তিনি এখন হাসপুকুরের ‘হাসপাতাল দিদিমা’! কী ভাবে হলো? সবজি বিক্রেতা এক নারী কীভাবে তৈরি করলেন একটা হাসপাতাল? এত টাকা বা পেলেন কোথা থেকে?পাড়ার জ্যেষ্ঠরা বলেন সেই কাহিনী। সুবাসিনী মিস্ত্রি তার দিনমজুর স্বামী সাধনের চিকিৎসা করাতে পারেননি। সরকারি হাসপাতালে শয্যা মেলেনি, আর বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর সামর্থ্য ছিল না। বিনা চিকিৎসায় সাধন মিস্ত্রি যখন মারা যান, ছিল না কোন টাকা-পয়সাও। চারটি ছোট ছেলেমেয়ে। সুবাসিনীর অক্ষর জ্ঞানহীন। এর পরের কাহিনী সিনেমার গল্পের মতো।প্রতিবেশী এক প্রবীণ অধ্যাপক বলেন, লোকের বাড়ি কাজ করা দিয়ে উনার যুদ্ধ শুরু। বাদ দেয়া খাবার খেতেন। বাচ্চাদের নিয়ে ধাপার মাঠে ময়লা ঘেঁটে কয়লা তুলে বিক্রি করতেন। সবশেষে চৌবাগা থেকে ভোর তিনটায় ঠেলাগাড়িতে কয়লা তুলে বাচ্চা কোলে নিয়ে বাজারে বিক্রি করতেন। বাকি ছেলেমেয়েদের রেখেছিলেন অনাথ আশ্রমে। ১৯ কাঠা জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ৪৫ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। ২০ জন চিকিৎসক, এর মধ্যে ৪ জন বেতন নেন, বাকিরা বিনা পয়সায় কাজ করেন। রয়েছে ৩২ জন নার্স। এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসায় গরিব রোগীদের এক টাকাও লাগে না। বিনা পয়সায় দেয়া হয় ওষুধ।১০ শয্যার আইসিসিইউ, ভেন্টিলেশন। আউটডোর ছাড়াও মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, আই, ইএনটি, ইউরোলজি, পেডিয়াট্রিক, ইউরোলজি-সহ একাধিক বিভাগ চলে এখানে। অস্ত্রোপচার হয়, রয়েছে সব রকম পরীক্ষা ব্যবস্থা।নাম ‘হিউম্যানিটি হসপিটাল(humanityhospital.org)’। তবে লোকমুখে পরিচিতি ‘বুড়িমার হাসপাতাল’ নামেই। কলকাতার নামি-দামি হাসপাতালগুলোর দিকে সেবা কাকে বলে প্রশ্নটা ছুড়ে দিলেন ৭৩ বছরের বৃদ্ধা। তার প্রশ্ন, ‘আমি পারলে আপনারা পারবেন না কেন?’কী ভাবে কম খরচে মানুষের কাছে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়া যায় তা পরীক্ষা করে দেখতে কলকাতা আধুনিক-কর্পোরেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বৃদ্ধা। তার দাবি, ‘ইচ্ছে থাকলে উপায় যে হয় তা আমি ওদের দেখাতে চাই। মানুষের পাশে দাঁড়ালে আশীর্বাদ পাবেন।বিশ বছর আগে সুবাসিনীকে মিস্ত্রিকে এলাকার মানুষ চিনতেন ‘সবজি মাসি’ বলে। তিনি এখন হাসপুকুরের ‘হাসপাতাল দিদিমা’! কী ভাবে হলো? সবজি বিক্রেতা এক নারী কীভাবে তৈরি করলেন একটা হাসপাতাল? এত টাকা বা পেলেন কোথা থেকে?পাড়ার জ্যেষ্ঠরা বলেন সেই কাহিনী। সুবাসিনী মিস্ত্রি তার দিনমজুর স্বামী সাধনের চিকিৎসা করাতে পারেননি। সরকারি হাসপাতালে শয্যা মেলেনি, আর বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর সামর্থ্য ছিল না। বিনা চিকিৎসায় সাধন মিস্ত্রি যখন মারা যান, ছিল না কোন টাকা-পয়সাও। চারটি ছোট ছেলেমেয়ে। সুবাসিনীর অক্ষর জ্ঞানহীন। এর পরের কাহিনী সিনেমার গল্পের মতো।প্রতিবেশী এক প্রবীণ অধ্যাপক বলেন, লোকের বাড়ি কাজ করা দিয়ে উনার যুদ্ধ শুরু। বাদ দেয়া খাবার খেতেন। বাচ্চাদের নিয়ে ধাপার মাঠে ময়লা ঘেঁটে কয়লা তুলে বিক্রি করতেন। সবশেষে চৌবাগা থেকে ভোর তিনটায় ঠেলাগাড়িতে কয়লা তুলে বাচ্চা কোলে নিয়ে বাজারে বিক্রি করতেন। বাকি ছেলেমেয়েদের রেখেছিলেন অনাথ আশ্রমে।সরশুনার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসক রঘুপতি চট্টোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘প্রথম যে দিন এলাকার লোকদের ডেকে হাসপাতাল করবেন বলে উনি জানালেন, আমরা কেউ বিশ্বাস করিনি। যে দিন দেখলাম ধানি জমিতে কোমর পানি ঠেলে মাথায় করে মাটি নিয়ে ফেলছেন। তখন আমরা ভাবতে শুরু করলাম কিছু একটা করবেন উনি।তখন আশপাশের মানুষ, গ্রাম প্রধান সবাই একসঙ্গে তৈরি করলেন ট্রাস্ট। স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী তৈরি হল। সবাই টাকা দিল। সেটা নব্বই দশকের শুরুর দিকের কথা। প্রথমে তৈরি করা হয় আটচালা ঘর, পরে এই ভবন-বাড়ি।এখন আধময়লা শাড়ির ঘোমটাটা মাথায় টেনে বুড়িমা ঘুরে বেড়ান হাসপাতালের প্রতি কক্ষে, রোগীদের কাছে। ফোকলা দাঁতে হেসে বলেন, সবাই বলেছিল, মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু যে কাছের লোককে হারিয়েছে সে জ্বালাটা জানে। জিদ ছিল, যেন আমার স্বামীর মতো কাউকে মরতে না-হয়। ভাল কাজে ঠিক লোক আর টাকা জুটে যায়।এখন তার ইচ্ছে, তার এই প্রতিষ্ঠান দেখতে আসুক রাজ্যের রাজনৈতিক নেতা, বড় বড় হাসপাতাল মালিকরা। খবর আনন্দবাজার।
সুত্র : ইত্তেফাক

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat