দিনাজপুর শহরে যান জটের অন্যতম কারন ট্রাফিক পুলিশের অব্যবস্থাপনা
মোঃ আবু বকর সিদ্দিক দিনাজপুর :-
দিনের বেলা অবৈধ ভাবে দিনাজপুর শহরে ভারি যানবাহন চলাচলের ফলে যান জট তীব্র আকার ধারন করছে। দিনদিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ উৎকোচের বিনিময় দিনের বেলায় ভারি যান বাহনকে শহরের ভেতরে প্রবেশের অনুমোতি দেওয়ায় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ভোগান্তিতে পরেছে পথচারীরা।
চারুবাবুর মোড়, সাধনার মোড়, ফুলবাড়ী বাসষ্ট্যান্ড, ভুটিবাবুর মোড়, চৌরঙ্গী মোড়সহ শহরের বিভিন্ন মোড় দিয়ে দিনের বেলা অবা জপুর শহুরে জীবন। কোন বড় ট্রাক শহরে প্রবেশ করলে তার জন্য ট্রাফিককে দিতে হয় ৩০/৫০টাকা সর্বনিম্ন। এই টাকা প্রকাশ্যে তুলে ট্রাফিক পুলিশ। চারুবাবুর মোড়, মুন্সিপাড়া এবং বিভিন্ন গলির ভেতর রয়েছে একাধিক রড, সিমেন্টের দোকান। রড সিমেন্ট বোঝাই কোন গাড়ী গলির ভেতর প্রবেশ করলে রাস্তাকে অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ীর পিছু পিছু চলে যান এবং দোকানদারের কাছে ১/২শত টাকা আদায় করেন। দোকানদাররা নিজের স্বার্থে খুশি মনে এই টাকা চা খাওয়ার জন্য ট্রাফিককে দেন। চা খেতে তাদের লাগে অনেক টাকা। এছাড়াও শহরের চকবাজার, মর্ডাণ মোড় এবং বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি টান্সর্পোট রয়েছে। সেখানে মালের ট্রাক ঢুকলে হাসি মুখে ট্রাফিক চলে যান টান্সর্পোট অফিসে। এসব কর্মকান্ড প্রকাশ্যে করে ট্রাফিক পুলিশ।
এভাবে অরক্ষিত রাস্তায় প্রতিনিয়ত জ্যাম এর সৃষ্টি হয়। তাই এই জ্যামে পরে নাজে হাল হতে হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধ নারীসহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের এক কথায় ট্রাফিক পুলিশের কারনে অবৈধ ভাবে ভাড়ি যান বাহন শহরে ঢোকার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এভাবে নাগরিক সুবিধা বঞ্জিত দিনাজপুর শহরবাসী আর কতদিন ভোক্তান্তি সইবে? সৎ ট্রাফিকের বড়ই অভাব ! রাস্তায় যান জোটের প্রধান কারণ ট্রাফিক ব্যবস্থার অনিয়ম। অন্যদিকে গাড়ী চালকরা ট্রাফিক আইন মানছেন না এবং ট্রাফিক পুলিশ এদের আইন মান্তে খুব একটা কার্যকরি ব্যবস্থাও গ্রহন করছেন না। ট্রাফিক ব্যবস্থার মধ্যে সৃংখলা ফিরে আসলে শহরের পথচারীরা নির্বিঘে চলাচলের সুযোগ পাবেন বলে বিজ্ঞ জনেরা মনে করেন। এব্যাপারে দিনাজপুর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুল বারীর সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার জানামতে কোন ট্রাফিক পুলিশ উৎকোচের বিনিময়ে বড় যানবাহনকে শহরে প্রবেশের ব্যবস্থা করে দেয় বেল আমার যানা নেই। তিনি বলেন প্রমাণ সহ কোন ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।