রাজধানীর চাঁদনী চক মার্কেটের সামনে এক হকারের ছুরিকাঘাতে আরেক হকার নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক :-
রাজধানীর নিউমার্কেট চাঁদনী চক মার্কেটের সামনে এক হকারের ছুরিকাঘাতে খোকন মোল্লা (৩০) নামে আরেক হকার নিহত হয়েছেন।আজ বুধবার বিকেলে চাঁদনি চক মার্কেটের সামনে এঘটনা ঘটে।
এতে বাবুল ব্যাপারি নামে অন্য এক হকার আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, আহত বাবুলের বুকে ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।আহত বাবুল জানান, দুপুরে মার্কেটের হোটেল সিজান রেস্তোরাঁয় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হকার শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে ৫/৬ জন অতর্কিত হামলা চালায়। খোকন ও তাকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি এবং খোকন যুবলীগের নাজনীতির সাথে জড়িত বলে দাবি করেছেন বাবুল।
জানা গেছে, খোকনের বাবার নাম কালু মোল্লা। তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের সালতার ফুলবাড়িয়া গ্রামে। খোকন স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে কামরাঙ্গিরচরের চর খলিফাঘাটে বাস করতেন। তিনি চাঁদনি চক মার্কেটের গেটের সামনে কসমেটিক্সের ব্যবসা করতেন।আহত বাবুলের ভাই লোকমান মোল্লা জানান, চাঁদনী চক মার্কেটের ছাদে নিয়মিত মাদকের আড্ডা বসে। কয়েকদিন আগে মার্কেটের ছাদে মাদক সেবন করছিলেন শাহাবুদ্দিন, হানিফ ও সোহেল। এ নিয়ে তিন দিন আগে সালিশও বসেছিল। ওই বিচারে খোকনের ভূমিকা থাকার কারণে আজ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।হানিফ, সোহেলসহ আরো কয়েকজন হামলার সময় শাহাবুদ্দিনের সাথে ছিলেন বলে জানান লোকমান।নিউ মার্কেট থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে তারা জানতে পেরেছেন। কয়েকদিন আগে শাহাবুদ্দিনের এক বন্ধুকে মারধর করেন খোকন মোল্লা। এরই জের ধরে শাহাবুদ্দিন কয়েকজন সহযোগীসহ তার কাছে এসে আজ মারার কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দুজনকে ছুরিকাঘাত করেন শাহাবুদ্দিন।পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার বলেন, দুপুরে এই হকাররা একসাথে খাওয়া-দাওয়া করছিলেন। খাওয়া শেষে শাহাবুদ্দিন খোকন ও বাবুলকে ছুরিকাঘাত করে। এতে খোকন মারা যান। শাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সম্প্রতি তারা তিনজনই যুবলীগে যোগ দিয়েছিলেন। আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।